মঙ্গলবার , ১৪ই মে, ২০২৪ , ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ , ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > আন্তর্জাতিক > যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়: খামেনি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়: খামেনি

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনায় ইরান বসবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেছেন, এ ধরনের আলোচনা হবে ‘নিষ্ফল’, ইরানের জন্য ‘অপকারী’ এবং ‘সার্বিক ক্ষতিকর’। খবর রয়টার্সের।

বুধবার সন্ধ্যায় তেহরানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ইউরোপ কিংবা অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনায় ইরানের কোনো আপত্তি নেই। তবে ইরান তার বিপ্লবের মূল আদর্শ ও সামরিক শক্তির জায়গায় কোনো ছাড় দেবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে তার দেশকে বের করে নিয়ে তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও ট্রাম্পের আলোচনার প্রস্তাবে ইতিবাচক সায় দিয়েছেন। বলেছেন, ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে তেহরান ওয়াশিংটনের সঙ্গে বসতে প্রস্তুত।

তবে এ বিষয়ে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা খামেনি বলেন, ইরান সন্দেহাতীতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না। কারণ এর মাধ্যমে কোনো ফল আসবে না, একই সঙ্গে এটি হবে ক্ষতিকর।

তিনি আলোচনাকে মার্কিনিদের চাপ সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি আসলে আলোচনা নয়; বরং চাপ সৃষ্টি করে ফল ঘরে তোলার অপকৌশল।

খামেনি বলেন, এই অপকৌশল মোকাবেলা করার একমাত্র উপায় হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টির কাজে বিদ্যমান উপাদানগুলো ব্যবহার করা। তিনি বলেন, যদি এসব উপাদান সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায় তা হলে মার্কিনিরা হয় তাদের চাপ বন্ধ করবে অথবা কমাবে।

তিনি সামরিক উপায়কে মার্কিনিদের বিরুদ্ধে পাল্টা চাপ সৃষ্টির একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের বিরোধিতা করার পাশাপাশি এও বলেন, প্রয়োজন অনুযায়ী এই হাতিয়ারও ব্যবহার করতে হবে।

সম্প্রতি ইরান সরকার পরমাণু সমঝোতার কিছু ধারা বাস্তবায়ন স্থগিত রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার প্রতি ইঙ্গিত করে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে মার্কিনিদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা তার ভাষণের অন্য অংশে আমেরিকার ফিলিস্তিনবিষয়ক ‘ডিল অব সেঞ্চুরি’ বা শতাব্দীর কথিত সেরা চুক্তি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিনবিষয়ক এই পরিকল্পনাও অতীতের পরিকল্পনাগুলোর মতো ব্যর্থ হবে।