বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
স্বাধীনতার পরে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিচার বহির্ভূত বিভিন্ন সংস্কৃতি অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। এই সমস্যা সমাধানে আওয়ামীলীগ সরকার যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার বিচার করছে তেমনি জিয়া হত্যার বিচারও করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না।
ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ‘আজকের বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন করলেন অথচ তিনি দেশে ফিরে আসতে না আসতেই সাড়ে ৩ বছরের মাথায়ই তাকে হত্যা করা হলো। সেই হত্যাকা-ের বিচার না করে যারা সেই হত্যাকা-ের সাথে জড়িত ছিলেন পরবর্তী জিয়াউর রহমান সরকার তাদেরকে পুরস্কৃত করে দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দিলেন। এমনকি পুরস্কৃত করে ভাল ভাল চাকরিও দিলেন। এই ভাবেই স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করে।
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পরে স্বাধীনতা বিরোধীরা ২১ বছর ক্ষমতায় থাকায় ক্যান্টনমেন্টে-কু মুক্তিযোদ্ধা হত্যা, জাসদ হত্যাসহ বিভিন্ন ধরণের অপকর্ম করেন। কারণ যারা সামরিক শাসনের নিয়ম-কানুন ভঙ্গ করে এই দেশের সামরিক পোশাক পরিধান করে পার্টি গঠন করেছে, পার্টির প্রধান হয়েছে তারা এই ধরণের কর্মকা- করবে এটাই স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশের আইন এবং শাসন ব্যবস্থার যে, ক্ষতি করে রেখেছে, এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য অবশ্যই সময় দেওয়া দরকার। তাই আমরা ২০৪১ সাল পর্যন্ত টার্গেট নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমাদের আমলে আইন থেকে শুরু করে সব কিছুর একটি ধারাবাহিক উন্নয়ন হচ্ছে এবং এটা বাংলাদেশের মানুষ স্বীকারও করছেন। এর পরেও আমাদের আরও উন্নয়ন করতে হবে যার কারণেই আমাদেরকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত সময় দিতে হবে। কারণ, স্বাধীনতা বিরোধীরা ২৬ বছর যে ক্ষতি করে রেখেছে এটা চাইলেই এই ৮ বছরে পরিষ্কার করতে পারবো না।
তিনি বলেন, আমরা যেমন বিভিন্ন উন্নয়নের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করছি, ৪ নেতার বিচার কারছি। এমনকি আমরা চাই জিয়াউর রহমানের বিচার বিএনপির আমলে হয়নি। সেই জিয়াউর রহমানের বিচার আমরা করতে চাই। হয়তো একদিন আমরা করবোও। এছাড়াও আমরা যদি দেখি তাহলে দেখা যায় যে, আমরা বিভিন্ন বড় ঘটনাসহ প্রতিটি হত্যাকা-ের বিচার করছি। কিন্তু চাইলেইতো সম্ভব না সব কিছু এক সাথে করা। সুতরাং সময় দিতেই হবে। আমাদের সময়.কম
