মঙ্গলবার , ১৪ই মে, ২০২৪ , ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ , ৫ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > যৌন হয়রানির অভিযোগে, চবি শিক্ষক চাকরিচ্যুত

যৌন হয়রানির অভিযোগে, চবি শিক্ষক চাকরিচ্যুত

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি ও প্রকাশনা জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এস এম রফিকুল আলমকে চাকরিচ্যুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৪৯২ তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ারুল আজিম আরিফ বলেন, ‘পদোন্নতি পেতে সব ক্ষেত্রেই রফিকুল আলম জালিয়াতি করেছেন। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় তাকে চাকরিচ্যূত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
জানা গেছে, ২০০১ সালে নিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির করেন রফিকুল আলম। এই অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
তবে চাকরিচ্যুত করার আরেকটি জোড়াল কারণ হলো-এক বছর আগে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য আবেদন করেন রফিকুল আলম। তিনি পদোন্নতি পেতে তার পুরানো গ্রন্থ ‘ইমাম রাজী (রহ.) ও তাঁর প্রাপ্তি: মা ফাতিহুল গাঈব’কে নতুন করে নকল করে ‘তাফসীরের ইতিহাস’ বলে চালিয়ে দেন।
তিনি এই গ্রন্থের ৮ নম্বর পৃষ্ঠা থেকে ২০০ নম্বর পৃষ্ঠা পর্যন্ত হুবহু নকল করেন।
পাশাপাশি তিনি অন্যান্য যোগ্যতা হিসেবে যে পাঁচটি গ্রন্থের কথা উল্লেখ করেন তাও জাল বলে ধরা পড়ে। এসব জানাজানি হয়ে গেলে ওই সময় আরবি বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সভায় তার পদোন্নতির বিষয়টি বাতিল করা হয়।
কিন্তু রফিকুল সভাপতি থাকায় নিজের পক্ষেই একটি সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পদোন্নতি কমিটির কাছে পাঠান। পদোন্নতি কমিটির কাছে তা সন্দেহ হওয়ায় ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান অনুষদের ডিন খান তৌহিদ ওসমানকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে আরো একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই কমিটিতেও তার জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।
অবশেষে দুই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রফিকুল আলমকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম ডেস্ক