রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ , ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > রাজধানীতে পানির তীব্র সংকট

রাজধানীতে পানির তীব্র সংকট

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
প্রতিবারের মতো এবারও গ্রীষ্মের শুরু না হতেই রাজধানীতে দেখা দিয়েছে পানির তীব্র সংকট। বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা গত কয়েকদিন ধরে ভুগছে পানির কষ্টে। তাদের অভিযোগ, গরম আসলেই নিয়মিত পানি সরবরাহ দিতে পারে না ওয়াসা। এদিকে ওয়াসা বলছে, পাম্পের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িক সময়ের জন্য পানি সরবরাহ বন্ধ আছে।

পানি সংকটে একমাস ধরে ভুগছে রাজধানীর উত্তর বাড্ডার সাতারকুল রোডের এলাকাবাসী। তাদেরকে রীতিমতো ছোটাছুটি করে লাইনে দাঁড়িয়ে অন্যের বাড়ি থেকে পানি সংগ্রহ করতে হয়। এজন্য অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় এক নারী বলেন, লাইনে অনেকদিন ধরেই পানি নাই। পানি টানতে টানতে আমরা অসুস্থ হয়ে গেছি। আমরা রান্না করবো সেই পানিও পাচ্ছি না ঠিক মতো।

আরেকজন স্থানীয় বলেন, আমরা কারওয়ানবাজরের হেড অফিসে অ্যাপ্লিকেশন করেছি। তারা বলছে রাস্তার লাইন উঁচু। এইজন্য পাইপের লাইনও উঁচু আছে।

একই অবস্থা মতিঝিলের আরামবাগে। আর মনিপুরের কাঠালপাড়াবাসী একদিন পর পর রাতে পানি পাচ্ছেন। তাদের এই অবস্থা চলছে দীর্ঘ দিন ধরে।

দুর্গন্ধ ময়লাযুক্ত পানি সরবরাহ হচ্ছে মগবাজার গেন্ডারিয়া ও ধোলাইখালে। এছাড়া পানির কষ্ট রয়েছে মিরপুর, আগারগাঁও, খিলগাঁও, মান্ডা, পূর্ব জুরাইন ও পুরান ঢাকার নাজিরাবাজারের এলাকাবাসীরা।

গেন্ডারিয়ার এক বাসিন্দা জানান, আমাদের এই এলকার পানিতে অনেকদিন ধরেই দুর্গন্ধ এবং পানির রং হলুদ।

আরামবাগের এক নারী জানান, এক সপ্তাহ ধরে আমাদের পানি নেই। আমরা অনেক কষ্ট করছি। গোসল করতে পারিনা এবং কোনো কাজই ঠিক মতো করতে পারি না।

ওয়াসার তথ্যমতে, নগরীতে পানির চাহিদা প্রতিদিন ২৩০ থেকে ২৩৫ কোটি লিটার। উৎপাদন হয় চাহিদার চেয়েও বেশি ২৪২ কোটি লিটার। তবে সামান্য কিছু অবৈধ সংযোগের কারণে কিছু এলাকায় ময়লা পানি যাচ্ছে। কয়েকটিতে রয়েছে যান্ত্রিক ত্রুটি।

ঢাকা ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, ৭৮০ টি পাম্প থেকে আমরা আন্ডারগ্রাউন্ড পানি এক্সট্র্যাক্ট করি। হরহামেশাই এই একটা দুটো পাম্প যখন খারাপ থাকে, তখন ওই এলাকায় সামান্য একটু সমস্যা হয়। আমরা এটাকে বলছি পকেট সমস্যা। আমাদের সামগ্রিক উৎপাদন প্রতিদিনই টোটাল ডিমান্ডের চেয়ে বেশি।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, জনদুর্ভোগকে প্রাধান্য দিয়ে পুরো ব্যবস্থাটাকে সাজানো দরকার।

ঢাকা ওয়াসার সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, ব্যালেন্স নেটওয়ার্কের কথা যদি চিন্তা করি তাহলে এখানে সিস্টেম ডিজাইনই অন্যরকম। সেটা হলো যে একটা মাদার পাইপলাইন থাকবে। যাতে করে কোনো সমস্যা হলে সেই পাইপ থেকে পানি অন্যখানে ট্রান্সফার করা যায়।

এ গরমে পানির সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ আন্তরিক না হলে চরম দুর্ভোগ নেমে আসবে রাজধানীবাসীর। তাই এখনই যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে চলমান সঙ্কটের সমাধান চাইছেন ভুক্তভোগীরা।

সূত্র : সময় টিভি