রবিবার , ১৯শে মে, ২০২৪ , ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ , ১০ই জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > শ্রমিক বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ

শ্রমিক বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ

শেয়ার করুন

শ্রীপুর(গাজীপুর) প্রতিনিধি ॥ বেতন, হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, সরকার ঘোষিত সব ছুটির দাবিতে শ্রীপুরের মুলাইদ ও নয়নপুর এলাকার কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। পুলিশ শ্রমিকদের ছাত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকেলে ৩টা পর্যন্ত কারখানার সামনে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা।

নোমান শিল্প গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইসমাইল টেক্সটাইল লিমিটেড, জারবা টেক্সটাইল, সুফিয়া কটন অ্যান্ড স্পিনিং মিলস, সাদ-সান টেক্সটাইল ও তালহা স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা কর্মবিরতি দিয়ে ওই বিক্ষোভে অংশ নেয়।

নোমান শিল্প গ্রুপের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা জানায়, কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের ১২ ঘণ্টা কাজ করিয়ে ৮ হাজার টাকা বেতন দেয়। হাজিরা বোনাস দেয়া হয় প্রতি মাসে ৫শ’ টাকা। তা বাড়িয়ে ৮শ’ টাকা করার দাবি করা হয়েছে। সরকার ঘোষিত নিয়মিত সরকারি ছুটি দেয়া হয়না। এসব কারণে তারা সোমবার সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, তালহা স্পিনিং মিলস লিমিটেডের বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা দুপুর ১১টার দিকে কারখানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও মূল গেটে ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ বাধা দিলে শ্রমিকেরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শরীফুল ইসলাম জানান, সড়কে অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ ও পরে ৫ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আবার তারা কারখানা চত্বরে জড়ো হয়। তবে তালহা স্পিনিং মিলস ছাড়া অন্য কারখানার শ্রমিকেরা নিজস্ব চত্বরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।

এ ব্যাপারে নোমান শিল্প গ্রুপের শ্রীপুর জোনের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নাসিম উদ্দিন সরকার বলেন, আসলে শ্রমিকরা সরকার ঘোষিত মজুরি দাবি করছে। কিন্তু সরকার পোশাকখাতে বেতন বাড়ালেও টেক্সটাইল খাতে বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দেয়নি। তাই তাদের দাবি অযৌক্তিক।

জিএম নাসিম আরো বলেন, সরকার ঘোষিত সব প্রকার ছুটি নিয়মানুযায়ী দেয়া হয়। উৎসবের ছুটির সময় শ্রমিক কাজে থাকলে শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের ওভারটাইম দেয়া হয়। বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি থামাতে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বার্ষিক বেতন বাড়িয়ে দেয়া হবে।