রবিবার , ১২ই মে, ২০২৪ , ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ , ৩রা জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > গ্যালারীর খবর > সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর : আইনমন্ত্রী

সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার বদ্ধপরিকর : আইনমন্ত্রী

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, বিচার ব্যবস্থায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি আজ রোববার বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে যুগ্ম জেলা জজ ও সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ১২১তম স্বল্পমেয়াদী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনকালে একথা বলেন।

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন কর্মশালার প্রশিক্ষক ওসমান হায়দার। আইন ও বিচার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার পূর্বের সরকারের ধারাবাহিকতায় বিচার বিভাগের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন এবং দেশের বিদ্যমান শত বছরের পুরোনো আইন ও বিধি সংস্কার করে বিচার ব্যবস্থার যুগান্তকারী পরিবর্তন আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

তিনি বলেন, ফৌজদারী বিচার কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত ও দ্রুততার সাথে নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ফৌজদারী কার্যবিধি সংস্কার করে প্লী বারগেইনিং কনসেপ্ট অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

দেশে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী বিচার কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে বিচারকদেরকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, বিচারকরা তাদের প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান নিজ নিজ কর্মস্থলে প্রয়োগ করলে বিচারের মান বাড়বে এবং দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির জন্য বিচারকদের প্ররোচকের ভূমিকা পালন করতে হবে।

আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় একজন বিচারকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আইনের জটিল বিষয়গুলো সমাধানের মাধ্যমে জনগণের স্বার্থে কম সময়ে ও স্বল্প ব্যয়ে বিচারপ্রার্থীদের প্রতি ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা বিচারকদের অন্যতম দায়িত্ব। বিচার প্রতিষ্ঠানের আদর্শ ও কর্তব্য হচ্ছে ত্বরান্বিত ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা আর আইনজীবীদের দায়িত্ব হচ্ছে বিচার ব্যবস্থা পরিচালনায় বিচারককে সাহায্য করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব করে তোলা।

তিনি বলেন, দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালনের লক্ষ্যে বিচারকদের অনন্য ভূমিকা রয়েছে। বিচার কার্য পরিচালনায় প্রশিক্ষণার্থী বিচারকবৃন্দের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিচার কাজের গুণগত মান উন্নয়নে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।

আনিসুল হক বলেন, আমাদের দেশে এক হাজারের বেশী আইন রয়েছে। প্রতিটি আইন একজন বিচারকের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। তাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় আইনগুলো খুঁজে বের করার কৌশল, অধ্যয়ন এবং প্রায়োগিক দিক সম্পর্কে বাস্তবভিত্তিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সে লক্ষ্যেই প্রশিক্ষণের সিলেবাস যুগোপযোগী করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে প্রায় ২০ লক্ষের বেশি মোকদ্দমা বিচারাধীন আছে। মামলার জট কমিয়ে আনা বিচারকদের জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিগত সরকার কতিপয় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেওয়ানী কার্যবিধি এবং অর্থঋণ আদালত আইন সংশোধনের মাধ্যমে এডিআর-এর বিধান অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির সহায়ক আইন করা হয়েছে।

বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড বা গুম এসব সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃংখলা বাহিনীকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। রিপোর্টটি পাওয়ার পরই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।বাসস বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম ডেস্ক