সোমবার , ১৩ই মে, ২০২৪ , ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ , ৪ঠা জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > শীর্ষ খবর > ‘১০ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানাব’

‘১০ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানাব’

শেয়ার করুন

বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর কাউন্টডাউন শুরুর দিন ১০ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলা একদিনের জন্য বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বুধবার (১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সুপারিশের আলোকে গঠিত নিরাপত্তা উপ-কমিটির সভা শেষে এ তথ্য জানান তিনি। প্রসঙ্গত রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ১ জানুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কাউন্টডাউন উদ্বোধনের দিন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সেনাবাহিনী, তাদের সহযোগিতা করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১২ সিটি কর্পোরেশনের ২৮টি পয়েন্টে, বিভাগীয় শহরগুলোতে, ৫৩ জেলা ও দুই উপজেলা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৮৩টি পয়েন্টে কাউন্টডাউন ঘড়ি বসানো হবে।’

‘এসব স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। একই সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেখানকার বা স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদসহ প্রশাসন ও নিরাপত্তা কর্মীরা বিষয়টি দেখাশোনা করবেন। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে’ বলে জানান তিনি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘১০ জানুয়ারি প্যারেড গ্রাউন্ডে কাউন্টডাউন অনুষ্ঠান এএফডি (সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ) নিরাপত্তা সমন্বয় করবে। এ অনুষ্ঠানে দুই হাজার আমন্ত্রিত অতিথি ও ১০ হাজার দর্শক থাকবেন। দর্শক যারা যাবেন তারা মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে নাম রেজিস্ট্রেশন করে যেতে পারবেন।’

তিনি বলেন, ‘১০ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলা একদিনের জন্য বন্ধ রাখার অনুরোধ জানাব। এছাড়া এ অনুষ্ঠান যাতে বিভিন্ন স্থান থেকে জনসাধারণ দেখতে পায় সেজন্য টিভি স্ক্রিন বসানো হবে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী আগামী ১৭ মার্চ। এর আগেই কাউন্টডাউনের অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছি। ১০ জানুয়ারি প্যারেড গ্রাউন্ডে বিকেল ৩টায় মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করবেন। অনুষ্ঠানটি পালন করা হবে বঙ্গবন্ধু যেখানে যেভাবে বিমানে করে এসেছিলেন ঠিক সেভাবে সেখানেই। সেখানে বঙ্গবন্ধু যে রকম বিমানে করে এসেছিলেন সেরকম একটি বিমান রাখা হবে। সেদিন সারাদেশেই অনুষ্ঠান হবে। যারা অনুষ্ঠান করতে আগ্রহী তাদের মুখ্য সমন্বয়কের অনুমতি নিয়ে করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠানে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল সেরকম কয়েকজনের আসার সম্ভাবনা আছে। পরে আমাদের মুখ্য সমন্বয়ক এ বিষয়ে জানিয়ে দেবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে যখন প্রয়োজন হবে তখনই আমরা সভা করবো।’