সোমবার , ১৩ই মে, ২০২৪ , ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ , ৪ঠা জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > Uncategorized > ১২ ঘন্টা চেষ্টার পর পোশাক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

১২ ঘন্টা চেষ্টার পর পোশাক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ১২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়িতে স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টসের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। গার্মেন্টসটির ১০ তলা ভবনের সবগুলোতে আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে পুলিশের গুলিতে শ্রমিক মারা যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গার্মেন্টসটিতে অগ্নিসংযোগ করে। ফায়ার সার্ভিসের ২২টি ইউনিটের আপ্রাণ চেষ্টার পর শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আক্তারুজ্জামান লিটন অগ্নিকাণ্ডের খবর নিশ্চিত করে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসসহ বেশ কয়েকটি ইউনিট কাজ করে।
স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টের এক কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, বকেয়া বেতনের দাবি ও শ্রমিক ছাটাইয়ের প্রতিবাদে সোয়েটারের সেকশনের শ্রমিকরা এ আগুন দিয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকেই তারা এ নিয়ে বিক্ষোভ করছিল। রাত ১২টার দিকে কর্তৃপক্ষে বিতণ্ডার এক পর্যায়ে তারা এ কাজ করে।
জানা যায়, ওই গার্মেন্টস কারখানার তিনটি ১০ তলা ভবনে ২০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করে। তিনটি ভবনেই আগুন ধরে যায়। আগুন লাগার সাথে সাথেই অনেক শ্রমিক বেরিয়ে এসেছে। তবে ভেতরে এখনো কেউ আটকা পড়ে আছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শ্রমিকরা জানান, মজুরি বাড়ানোর দাবিতে অন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার শেল ও গুলি ছুড়ে। এতে ৩ শ্রমিক মারা গেছে এমন সংবাদ পার্শ্ববর্তী মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেয়া হয়। এতে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় নেমে আসে এবং অবরোধ সৃষ্টি করে যানবাহন ভাংচুর ও ৬টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। একপর্যায়ে স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টেসেও অগ্নিসংযোগ করে শ্রমিকরা।
এদিকে পার্শ্ববর্তী ইসলামী গার্মেন্ট নামে আরেকটি কারখানায়ও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। স্ট্যান্ডার্ডের ওই কর্মকর্তার অভিযোগ, সোয়েটার সেকশনের শ্রমিকরা সেখানেও আগুন লাগিয়েছে।