রবিবার , ১২ই মে, ২০২৪ , ২৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ , ৩রা জিলকদ, ১৪৪৫

হোম > রাজনীতি > ৭ নভেম্বরের ঘটনায় মহানায়ক তাহের, খলনায়ক জিয়া: ইনু

৭ নভেম্বরের ঘটনায় মহানায়ক তাহের, খলনায়ক জিয়া: ইনু

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক ঘটনার মহানায়ক কর্নেল তাহের, বিশ্বাসঘাতক ও খলনায়ক জিয়া।

শনিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউর শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে ৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের ১১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার, বিপ্লবী শহীদ কর্নেল তাহের বীরউত্তম-এর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এ কথা বলেন ইনু।

সভাপতির বক্তব্যে হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কর্নেল তাহের বীরউত্তম ও জাসদের নেতৃত্বে সিপাহী-জনতার অভ্যুত্থান একটি ঐতিহাসিক মহান ঘটনা।’

তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস নয়। যারা এতদিন পর্যন্ত ৭ নভেম্বরকে চিহ্নিত করতে চেয়েছে তারা ইতিহাসকে আড়াল এবং বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনিসহ ষড়যন্ত্রকারীদের আড়াল করা, তাদের পক্ষে ওকালতি করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছে।

ইনু আরও বলেন, দেরিতে হলেও ধামাচাপা দেয়া সত্য আজ প্রকাশিত। খোদ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে এখন সবাই সুস্পষ্টভাবে বলছেন কারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, কারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে, কারা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের নিরাপদে দেশত্যাগ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এমনকি খালেদ মোশাররফকে কার নির্দেশে কোন অফিসাররা হত্যা করেছে, খোদ খালেদ মোশাররফ এর পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের নামও আজ প্রকাশ করা হয়েছে।

এ সময় ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যা, ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতা হত্যা, ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার অভ্যূত্থান দমন, খালেদ মোশাররফ হত্যা, জিয়ার শাসনামলে কর্নেল তাহেরকে সাজানো মিথ্যা মামলায় বিচারের নামে প্রহসনের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা, সেনানিবাসগুলোতে শত শত অফিসার-সৈনিক হত্যার ঘটনার তদন্ত করে সত্য উদঘাটনে একটি ‘জাতীয় সত্য উদঘাটন কমিশন’ গঠন করার আহ্বান জানান জাসদ সভাপতি।

ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার পর সেই দিনের রাজনৈতিক সংকট ও শুন্যতায় শহীদ কর্নেল তাহের ও জাসদের নেতৃত্বে বিপ্লবী অভ্যূত্থান প্রচেষ্টা ইতিহাসের গতি পরিবর্তনের ঐতিহাসিক সুযোগ করেছিল। সিপাহী-জনতার অভ্যূত্থান বাংলাদেশের বিপ্লবী রাজনীতির ইতিহাসে একটি মাইলফলক। কিন্তু জিয়া ও তার সহযোগী পাকিস্তানপন্থী অফিসার এবং দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী সেই মহান বিপ্লবী প্রচেষ্টাকে দমন করে দেশকে পাকিস্তানপন্থা ও চরম প্রতিক্রিয়াশীলতার দিকে ঠেলে দেয়। জিয়ার সাথে হাত মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি মুক্তিযুদ্ধে তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে শুরু করে।

হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলটির সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর হোসাইন আখতার, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শহীদ কর্নেল তাহেরের অনুজ অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নইমুল আহসান জুয়েল, শ্রমিক জোটের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় যুব জোটের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল হক ননী প্রমুখ।

আলোচনা সভা শুরুর পূর্বে জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি, ঢাকা মহানগর জাসদ, শহীদ কর্নেল তাহেরের পরিবার, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ, জাতীয় নারী জোট, জাতীয় যুব জোট, জাতীয় কৃষক জোট, মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদ, জাতীয় আইনজীবী পরিষদ ও জাসদ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে শহীদ কর্নেল আবু তাহের বীরউত্তম-এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।