স্টাফ রিপোর্টার ॥ “রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অগ্রসর হলেই হরতালের মত কঠোর কর্মসূচী দেয়া বলে হুমকি দিয়েছেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ্ আর সরকারের মেয়াদকাল শেষে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক সেটা সামরিক হোক, আধা সামরিক হোক আর বিএনপি হোক-এ প্রকল্প নিয়ে যারাই অগ্রসর হবে তাদের বিরুদ্ধেই কঠোর কর্মসূচিসহ হরতাল দেয়া হবে।”
মঙ্গলবার সকালে মুক্তি ভবনে সিপিবি’র অফিসে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন। ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক দেন আনু মুহাম্মদ। তিনি জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে এ কর্মসূচি বিকেল চারটায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পালন করা হবে।
তিনি আরো বলেন আমাদের কর্মসূচিতে বিএনপির সমর্থনে আশ্চর্য হ্ওয়ার কিছু নেই কারণ যারা বিরোধী দলে থাকেন তারাই আমাদের সমর্থন দেন। আর ক্ষমতায় গেলে আমাদের ভুলে যান। ফুলবাড়ি আন্দোলনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা আমাদের সমর্থন দিয়েছিলেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক বলেন, “সরকার এই প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হওয়ার মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের পথ আরো সঙ্কুচিত করেছে। ভারতের আগ্রাসী নীতি এবং দুই দেশের কতিপয় গোষ্ঠীর মুনাফা আগ্রাসী তৎপরতার কাছে সরকার আত্মসমর্পণ করেছে। সুন্দরবন ধ্বংস করার এই প্রকল্প কাজের আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের দিন বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের একটি কলঙ্ক রচিত হবে।”
জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, “ভারত আমাদের যা সর্বনাশ করার অতীতে করেছে, এখনো করছে। আর রামপাল প্রকল্প হলো সর্বনাশের কফিনে শেষ পেরেকে।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটি) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ (খালেকুজ্জামান) নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা রাগিম আহসান মুন্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।