নানা রকম মাথাব্যথায় করনীয়..

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ এটি সাধারণত কোনো রোগ নয়, রোগের উপসর্গ মাত্র। মাথাব্যথার প্রকৃতি, সময়, তীব্রতা, আক্রান্ত অংশ ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে চিকিত্সকরা কারণ চিহ্নিত করেন। হাজারো কারণে ব্যথা হতে পারে মাথায়। তাই যেকোনো ধরনের ব্যথার চিকিত্সা সম্পর্কে স্বল্প পরিসরে আলোচনা করা সম্ভব নয়। এখানে কয়েকটি মাথাব্যথার নিরাময়ব্যবস্থা দেয়া হলো

সাধারণ মাথাব্যথা: মাথায় ঠাণ্ডা বা রোদ লেগে কিংবা ঘুম কম হলে এ ধরনের ব্যথা হয়। এটি কিছুটা কষ্টদায়ক হলেও তেমন তীব্র হয় না। আর এ-জাতীয় মাথাব্যথা সারিয়ে তোলার উপায়ও সহজ। সামান্য পানি দিয়ে হাত দুটি ভিজিয়ে নিন। ভেজা হাতে মুছে নিন আপনার কপাল, মুখমণ্ডল ও ঘাড়। দু-তিনবার এভাবে করুন। জায়গাগুলো একটু ভেজা ভেজা হলে কিছুক্ষণ বসে থাকুন খোলা বাতাসে। প্রাকৃতিক খোলা বাতাস না পেলে ধীরগতিতে ফ্যান ছেড়ে ভেজা জায়গাগুলোয় বাতাস লাগান। কিছুক্ষণ পর তা শুকিয়ে যাবে। এর সঙ্গে সঙ্গে সেরে যাবে আপনার মাথাব্যথা।

তীব্র ব্যথা: বিভিন্ন কারণে তীব্র মাথাব্যথা হয়ে থাকে। তবে এর কমন কারণ হলো সর্দি অথবা সাইনোসাইটিস। যে কারণেই হয়ে থাকুক এর চিকিত্সাব্যবস্থাটি কিন্তু সহজ। এক-দুই কোয়া রসুন ছেঁচে রসটুকু ছেঁকে নিন। এবার দু-তিন ফোঁটা করে রস নাকের দুই ছিদ্র দিয়ে ভেতরে টেনে নিন। এমন গতিতে টানবেন যেন রসের ফোঁটা নাকের একেবারে ভেতরে চলে যায়। ঠিকমতো যদি রসটুকু আপনার নাকের গভীর পর্যন্ত যেতে পারে, তাহলে কয়েক মিনিট নয়, মাথাব্যথা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য কয়েক সেকেন্ডই যথেষ্ট।

আধকপালি মাথাব্যথা: সারা মাথা নয়, ডান বা বামদিকে কপালসহ মাথার অর্ধেকজুড়ে যে ব্যথা হয়, তাকে বলা হয় আধকপালি মাথাব্যথা। এ ব্যথা খুবই কষ্টের। ভীষণ যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে রোগী। ঘুমাতে বা খেতে পারে না। ব্যথার তীব্রতায় বমি বমি লাগে। কখনো কখনো বমি হয়েও যায়। ‘হিং’ পানিতে গুলে ফোঁটায় ফোঁটায় নাকের ভেতর দিলে এমন ব্যথা সেরে যায়। বাজারে প্রচুর ভেজাল হিং পাওয়া যায়। আসল হিং বনেদি এবং সুনামসমৃদ্ধ দোকান থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে।

মাইগ্রেন: মাইগ্রেন আলাদা ধরনের কোনো ব্যথা নয়। সাধারণত ক্রনিক (পুরনো) সাইনোসাইটিসের সমস্যা থেকে মাইগ্রেনের উত্পত্তি ঘটে। যদিও মাঝে মধ্যে অন্য কোনো জ্ঞাত বা অজ্ঞাত কারণেও মাইগ্রেন আক্রান্ত হতে দেখা যায়। মাইগ্রেনের রোগী ব্যথার যন্ত্রণায় এতটাই কাতর হয়ে পড়ে যে, কেবল ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে থাকাকেই একমাত্র চিকিত্সা এবং আরামের উপায় বলে মনে করে। ঘুমালে রোগী যন্ত্রণা এড়িয়ে থাকতে পারলেও, মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে কিন্তু মুক্ত হতে পারে না। অথচ একটু ধৈর্য ধরতে পারলে প্রাকৃতিক উপকরণের সাহায্যে মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। রসুনের কয়েকটি কোয়া বা কালিজিরা বেটে মাথায় লাগালে মাইগ্রেন সেরে যায়। কিশমিশের মতো আরেকটা ফল আছে নাম মনাক্কা। নিয়মিত কয়েক দিন এ ফল আর গোলমরিচ একসঙ্গে চিবিয়ে খেলেও মাইগ্রেন সারে।

তবে সবচেয়ে কার্যকর চিকিত্সা পদ্ধতি হলো— আধা চা-চামচ কালিজিরা ও আধা চা-চামচ পান খাওয়ার চুনের গুঁড়ো নিন। চামচ দিয়ে নেড়ে কালিজিরা আর চুন ভালো করে মেশান। এবার এ মিশ্রণ একটা পাতলা কাপড়ে নিয়ে পুঁটলি বাঁধুন। এক হাতে পুঁটলিটা নিয়ে অন্য হাতের তালুতে চাপ দিয়ে ধরে কয়েক সেকেন্ড ঘষুন। এবার ডান হাত দিয়ে পুঁটলিটা নাকের ডান দিকের ছিদ্রে চেপে ধরুন। অন্য হাতের একটি আঙুল দিয়ে নাকের বাম ছিদ্রটি চেপে ধরে রাখুন। এবার জোরে একটা শ্বাস টানুন। তারপর বাম নাকে পুঁটলি ধরে ডান নাক বন্ধ রেখে আবার জোরে একটা শ্বাস টানুন। দুই নাকের দুটি ছিদ্র দিয়ে দু-তিনবার করে এভাবে টানুন। নাক অনেক জ্বালা করতে পারে, তাত্ক্ষণিক ব্যথা বেড়ে গেছে বলেও মনে হতে পারে। কারণ কালিজিরার আর চুনের গুঁড়োর ঝাঁজে কয়েক মুহূর্ত নাকের ভেতর বেশ জ্বালা-পোড়া হতে পারে। একটু সহ্য করে থাকুন। চিকিত্সাব্যবস্থাটি দু-তিন দিন গ্রহণ করলে মাইগ্রেনের নরক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন চিরদিনের জন্য। বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম ডেস্ক

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫