বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ প্রতিপক্ষের হামলায় ফজরের নামাজের পর আর বাড়ি ফেরা হলো না আবদুল মালিকের (৫৫)। এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ জন।
শনিবার ফজরের নামাজ পড়ে বের হলে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত আবদুল মালিক সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নন্দিরগাঁও পশ্চিমপাড়ার মছদ্দর ওরফে মশাহিদ আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়- নন্দিরগাঁও পশ্চিমপাড়ার মাওলানা তবারক আলীর ছেলে দুলু মিয়ার (২৬) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার পূর্ণাছগাম গ্রামের লোকজনের লেনদেন ছিল। দুলুর কাছ থেকে পাওনা টাকা আদায় করতে না পেরে পূর্ণাছগাম গ্রামের লোকজন দুলুর গ্রামের আবদুল মালিকের কয়েকটি গরু ধরে নিয়ে যায়।
শনিবার নন্দিরগাঁও পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের পর দুলুকে পেয়ে আবদুল মালিক ভৎসনা করেন। দুলুর জন্য পূর্ণাছগাম গ্রামের লোকজন তার গরু ধরে নিয়ে গেছে বলে দোষারোপ করেন আবদুল মালিক। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক বিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় আবদুল মালিকের পক্ষ নেন মসজিদ থেকে নামাজ আদায় করে বের হওয়া বেশ কিছু মুসল্লি।
এক পর্যায়ে দুলু মিয়া বাড়িতে গিয়ে তার লোকজন নিয়ে এসে হামলা চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান আবদুল মালিক। এছাড়া আহত হন গ্রামের অন্তত আরও ২৫ জন ব্যক্তি।
হামলায় দুলুর সঙ্গে নেতৃত্ব দেন নন্দিরগাঁও পশ্চিমপাড়া গ্রামের ছইল মিয়ার ছেলে আবদুর রহিম (২২), তছির উদ্দিনের ছেলে কুতুব উদ্দিন ও একই গ্রামের আইন উদ্দিন (২৬)।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান গোয়াইনঘাটার থানাধীন সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাশার। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এসআই খায়রুল বাশার বাংলামেইলকে জানান- পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।