বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার ক্ষেত্রে উসকানি দাতাদের নামের তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। এ তালিকায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জাতীয় পার্টির বেশকিছু নেতার নামও রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সরকারের দায়িত্বশীল একটি সংস্থা এ তালিকা চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে জানায় গোয়েন্দা সূত্র। এর আগেও সরকার উসকানি দাতাদের নামের তালিকা তৈরি করেছিলো। এবার চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে সারাদেশে সংস্থাটি সেই তালিকা হালনাগাদ করার কাজ শুরু করে।
রমজান শেষে বিএনপিসহ ১৯ দলীয় জোট আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দেয়ার প্রেক্ষিতে এ তালিকা নতুন করে হালনাগাদ করা হয় বলে জানিয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট আন্দোলনের নামে নৈরাজ্যর সৃষ্টি করতে পারে বলে ধারণা করছে সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। এছাড়া সুযোগ সন্ধানী ও সুবিধাবাদীরাও দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে সরকারের।
হালনাগাদ করা এ তালিকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও থানা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের অধিকাংশ প্রভাবশালী নেতাদের নাম রয়েছে বলে জানান বিশেষ সংস্থার একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
জামায়াত ও জাতীয় পার্টির একাংশের বেশ কিছু নেতার নামও এ তালিকায় উঠে এসেছে বলে দাবি করেছে ওই সূত্রটি। এ সব নেতাদের গ্রামের বাড়ি ও ঢাকার ঠিকানা এবং ফোন নাম্বারও সংগ্রহ করেছে সংস্থাটি। ধ্বংসাত্মক কাজের ইন্ধন দাতাদের কারও কারও ছবিও এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, রাজধানীসহ জেলার প্রতিটি থানা থেকে ১৯ দলীয় জোটের গড়ে ৩২/৩৩ জন করে নেতার নাম এ তালিকায় উঠে এসেছে।
এদের অনেকের বিরুদ্ধে গত বছরের শেষ দিকে সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। আত্মগোপনে থাকা অনেক নেতাও এ তালিকায় আছে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংস্থাটির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ ও ঈদ পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করেই এ ধরনের তালিকা করা হয়েছে। এতে উসকানিদাতা বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতার নামও রয়েছে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম