মেসির গোলে আর্জেন্টিনার জয়

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ ভিনগ্রহের ফুটবলার খ্যাত লিওনেল মেসির দুর্দান্ত গোলে দুর্বল বসনিয়া-হার্জেগোভিনার বিপক্ষে ফুটবল বিশ্বকাপের এবারের আসরে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়েছে শিরোপার অন্যতম দাবিদার আর্জেন্টিনা।

প্রথমার্ধে বসনিয়ার আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে ড্রিবলার মেসি ৬৫টি মিনিটের মাথায় গোলের দেখা পান। গঞ্জালো হিগুয়েনের পাসে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের শটে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টের বাম কোণের নিচের দিকে বল জালে পাঠান আর্জেন্টাইন জাদুকর।

মেসির গোলের পর অবশ্য দলের পক্ষে একটি মাত্র গোল পরিশোধ করার পাশাপাশি বসনিয়ান স্ট্রাইকার ভেদাদ ইবিসেভিচ গড়েন নতুন কীর্তি। শিরোপা প্রত্যাশী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের ৮৫ মিনিটে ইবিসেভিচ বিশ্বকাপে বসনিয়া-হার্জেগোভিনার হয়ে প্রথম গোল করার রেকর্ড গড়েন।

তবে ব্যবধান কমলেও ম্যাচ শেষে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন মেসি-আগুয়েরো-হিগুয়েন-ডি মারিয়ারা।

এর আগে, খেলার ৩ মিনিটের মাথায় মেসির ফ্রি কিক ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভুল করে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে ফেলেন বসনিয়ান ডিফেন্ডার কোলাসিনাক। আর এই আত্মঘাতী গোলেই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা।

শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার পর বসনিয়া মরিয়া আক্রমণ করে গোল পরিশোধের জন্য। খেলার ১৪ মিনিটে বসনিয়ার আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড় পিজানিক বক্সের ভেতরে আর্জেন্টিনা গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন, আর্জেন্টিনা গোলরক্ষক রোমেরো দ্রুত গতিতে এগিয়ে গিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন।

৩২ মিনিটে জেকোর শট ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে গেলে হতাশ হতে হয় বসনিয়াকে। এরপর ৪১ মিনিটে লুলিচের জোরালো হেড বা দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে দেন রোমেরো।

বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোর ৪টায় রিওডি জেনেরিওর মারাকানা স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও বসনিয়া-হার্জেগোভিনা।

ম্যাচ শেষে দেখা যায়, আর্জেন্টিনা প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে ১১ বার শট নিলেও তাদের চেয়ে আরও ৫টি বেশি ১৬টি শট নিয়েছে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা। তবে, আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো দক্ষতার সঙ্গে ফিরিয়ে দিয়েছেন ৫টি শট। বসনিয়ানদের বাকি ১১টি শটই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে। আর আর্জেন্টাইনদের নেওয়া ১১টি শটের দু’টি চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছেছে, ১টি ফিরিয়েছেন গোলরক্ষক, বাকি ৮টিই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।

ম্যাচে বল দখলে প্রায় সমানে সমান লড়েছে দু’দল। ৫৫ শতাংশ বল দখল করে খেলেছে আর্জেন্টাইন, বসনিয়া খেলছে বাকি ৪৫ শতাংশ দখলে নিয়ে। তবে, বল ট্যাকল জয়ে এগিয়ে আর্জেন্টিনা। তাদের ২১টি ট্যাকল জয়ের বিপরীতে বসনিয়া বল ট্যাকল করেছে ১৯টি। কর্নার কিক আর্জেন্টিনা পেয়েছে ২টি, আর বসনিয়া পেয়েছে ৬টি। গোলের লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে বসনিয়ান খেলোয়াড়রা অফসাইডের সংকেত পেয়েছেন তিন বার।

১০টি ফাউল করে একটি হলুদ কার্ড হজম করেছে স্যাবেলার শীর্ষরা। ১৪টি ফাউল করে বসনিয়ানরাও খেয়েছে একটি হলুদ কার্ড। হলুদ কার্ড দু’টি পেয়েছেন যথাক্রমে মার্কোস রোজো এবং এমিরা স্প্যাহিক।

শিরোপার অন্যতম দাবিদার আর্জেন্টিনার প্রথম ম্যাচে দলের পক্ষে মাঠে নেমেছেন- সার্জিও রোমেরো (গোলরক্ষক), এজিকুয়েল গ্যারে, ফেড্রিকো ফার্নান্দেজ, হুগো ক্যাম্পেনাগ্রো, পাবলো জাবালেতা, মার্কোস রোজো, ম্যাক্সি রড্রিগেজ, হাভিয়ের মাসচেরানো, ডি মারিয়া, লিওনেল মেসি (অধিনায়ক) ও সার্জিও অ্যাগুয়োরো।

পরে অবশ্য, হুগো ক্যাম্পেনাগ্রোর বদলি ফার্নান্দো গ্যাগো, ম্যাক্সি রদ্রিগেজের বদলি গঞ্জালো হিগুয়েন এবং সার্জিও আগুয়েরোর বদলি হয়ে খেলতে নামেন লুকাস বিগলিয়া।

আলসান্দ্রো স্যাবেলার তত্ত্বাবধানে মাঠে খেলেছেন তারা।

অপর দিকে, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার হয়ে খেলেছেন-বিগোভিচ (গোলরক্ষক), বিকাকচিচ, এমির স্পাহিচ (অধিনায়ক), কোলাসিনাক, বেসিক, পিজানিক, মিসিনোভিচ, জেকো, মেনসুর মুজদাজা, সেনাড লুসিক ও হাজরোভিক।

মেনসুর মুজদাজার বদলি ভেদাদ ইবিসেভিচ, মিসিনোভিচের বদলি হ্যারিস মেদুনজানিন এবং ইজেত হাজরোভিচের বদলি হয়ে খেলতে নামেন এডিন ভিসকা।

দলটির কোচের দায়িত্বে রয়েছেন সুচিজ সাফেত (বাহরাইন)।

ম্যাচটিতে রেফারির দায়িত্ব পালন করছেন স্লোভেনিয়ার জোয়েল অ্যাগুইলার। তাকে সহযোগিতা করবেন, উইলিয়াম তোরেস ও জুয়ান জুম্বা। ম্যাচটির ফোর্থ অফিশিয়াল হিসেবে থাকবেন জামেল হাইমৌদি। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫