আটক বাণিজ্য: পুলিশ সদস্যদের র‌্যাবের তলব

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ আটক বাণিজ্যের অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের আগামীকাল বুধবার র‌্যাব-২ কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ কথা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এদিকে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা ভুক্তভোগীদের ফোনে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি, হুমকি কেউবা আবার অনুরোধ জানাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

তবে পুলিশ সদস্যদের ডেকে পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান।

জানা যায়, গত ২০ মে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো নির্দেশ অনুযায়ী র‌্যাবের পক্ষ থেকে আটক বাণিজ্যের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
র‌্যাব-২ কার্যালয় থেকে ভুক্তোভোগী ও অভিযুক্ত পলিশ সদস্যদের কাছে পাঠানো পত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের স্মারক নং-৩.০৭৯.০১২.০৪.০০.০০৬.২০.১৩ (অংশ-২)-৩৬৯ উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাংলামেইলকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে মোবাইল ফোনে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। র‌্যাবের কাছে বক্তব্য দেয়ার সময় যেন তাদের নাম উল্লেখ করা না হয়- এ কথা বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।

জানা যায়, গত ১৮ মার্চ একটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০১ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে। পরবর্তী সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুলিশ সদর দপ্তরকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়।

গত ৩ এপ্রিল এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হয়। সেখানে জানানো হয়, তদন্তে ২৯ জনের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট জেলা ও ইউনিট প্রধানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের শেষ দিকে দেশব্যাপী রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে পুলিশ ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছিল সাধারণ মানুষ। যাদেরকে ৫৪ ধারাবলে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ ছিল, টাকার বিনিময়ে আটক নির্দোষ সাধারণ মানুষদের ছেড়ে দেয় পুলিশ।

এ বিষয়ে র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান মঙ্গলবার রাতে বাংলামেইলকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’

তবে র‌্যাব-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে এম আজাদ বলেন, ‘বিগত সময়ে পুলিশের আটক বাণিজ্য নিয়ে এরকম একটি বিষয় আমরাও শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।’

সূত্র জানায়, গত বছরের ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানা পুলিশ কাওরান বাজার, তেজকুনি পাড়ার কসাইপট্টি, ফকিন্নি বাজার ব্রিজের নিচ থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে। এদের অধিকাংশকেই পরদিন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই আটক বাণিজ্যের অভিযোগে র‌্যাব-২ কার্যালয় থেকে তেজগাঁও থানার এসআই আমিনুল (বর্তমানে আদাবর থানায় কর্মরত), এসআই সাইফুর, এএসআই জাহিদুর রহমান ও থানার রাইটার মামা নামে পরিচিত তোতার নামে চিঠি পাঠানো হয় তেজগাঁও থানায়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম অন্য সবার চিঠি গ্রহণ করলেও রাইটার তোতার চিঠি গ্রহণ করেননি। এই নামে তেজগাঁও থানায় কেউ কর্মরত নেই বলে তিনি পত্রবাহককে জানান বলে জানা যায়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫