বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের জোট ও দলে (আওয়ামী লীগ) অনেক অনুপ্রবেশকারী ও সুযোগ সন্ধানী ঢুকে পড়েছে। যেকোনো উপায়ে এদের প্রতিহত করতে হবে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার সংলাপ, অর্বাচীন বালকের প্রলাপ শীর্ষক সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ দেশরতœ পরিষদ নামের একটি সংগঠন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জঙ্গিদের নেত্রী মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, সোমবার রাতে খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নিলে তার দল ৯৫ ভাগ ভোট পেত।
তিনি বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নিয়ে ৯৫ ভাগ ভোট পেত, তবে সেগুলো হতো জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের ভোট। মানুষের যখন ঘুমাতে যাওয়ার সময় হয়, তখন খলেদা জিয়ার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়। আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ২০১৯ সালে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। এ সময় অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান হবেন শেখ হাসিনা। এর আগে কোনো নির্বাচন নয়। নির্বাচন বাদে জাতীয় অন্যান্য ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ সংলাপে রাজি। তবে সে ক্ষেত্রে বিএনপিকে জঙ্গিদের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে জঙ্গিবাদী এবং সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপে বসতে পারে না। যদি তারা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ পরিহার এবং জঙ্গিদের ত্যাগ করে তাহলেই কেবল অন্যান্য জাতীয় বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে সংলাপ হতে পারে। তবে নির্বাচন নিয়ে নয়। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনকালীন সময়ে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার অধীনেই নির্বাচন হবে।
সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যান। আর বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। শুধু তারেক রহমানই নয়, বিএনপির চেয়ারপারসনসহ তাদের সিনিয়র নেতাদেরও মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন। কেননা তারা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে দেশের রাজনীতিও অসুস্থ হয়ে পড়বে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শ্রী চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাবু সুজিত রায় নন্দী বক্তব্য দেন।