বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ ‘ঢাকা থেকে সিলেটে যেতে লাগে মাত্র চারঘণ্টা। আর ঢাকা থেকে পাশের জেলা গাজীপুরে চারঘণ্টায়ও যাওয়া যায় না!’
মঙ্গলবার বিআরটিসি’র একটি বাসে বসে এ মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হৃদি তাসনিম। তিনি আড়াই ঘণ্টায় শাহবাগ থেকে কুড়িল পৌঁছান।
পল্টন থেকে ওঠা আরেক যাত্রী ওই বাসে গাজীপুর যাচ্ছেন। তিনি বলেন, এক একটি মোড়ে বাস এত সময় দাঁড়িয়ে ছিলো যে, হেঁটে হেঁটে গেলেও গাজীপুর পৌঁছে যেতাম!
যানজটের কবলে পড়ে এভাবেই ভোগান্তির শিকার হন রাজধানীর কর্মব্যস্ত মানুষ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই বাসে বসে আছেন যাত্রীরা। গাড়ির চাকা নড়ার নাম নেই!
ফার্মগেট পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (এস আই) মনিরুল ইসলাম জানান, যানজট নিত্যদিনের। কিন্তু কিছু গাড়ি নিয়ম না মানায় যানজট আরও বাড়ে। অনেক সময় দেখা যায়, একটি গাড়ির ভুলে শত শত গাড়িকে লাইনে অপেক্ষায় থাকতে হয়।
তার পাশে থাকা এক সার্জেন্ট বলেন, কিছু মোটরসাইকেল চালক এত বেপরোয়া হয়ে যান যে, তারা রং সাইডে চলে যান। এতে যেমন নিরাপত্তা ঝুঁকি, তেমনি যানজটেরও কারণ।
বেশ কিছুদিন আগে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের শাহবাগ মোড়ে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, এখন যানজট যতটা হচ্ছে তার থেকে বেশি হচ্ছে জনজট। মানুষ নিয়ম না মেনে রাস্তা পার হয়। ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করে না। তাহলে কিভাবে যানজট কমবে!
মঙ্গলবার দুপুরে মন্ত্রী মগবাজার ফ্লাইওভার নির্মাণ পরিদর্শনে যান। এসময় গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখে বলেন, ফ্লাইওভার এটাই শেষ নয়, আরও হচ্ছে এবং আগামীতেও হবে।
বেসরকারি এক পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিদিন ঢাকা শহরে প্রবেশ করছে প্রায় তিন হাজার ছয় শ’ মানুষ। ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ সাময়িকীর তথ্যে, ২০২৫ সালে ঢাকা শহরের জনসংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
যোগাযোগ মন্ত্রী তার একাধিক বক্তৃতায় বলেছেন, ২০১৯ সালের দিকে দেশের পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। মেট্রো রেল এক্সপ্রেস ওয়ে এবং নতুন করে অনেকগুলো ফ্লাইওভার তখন যোগ হবে।