বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ ‘সরকার আইন পরিবর্তন করে বাকশালের দিকে যাচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ধাপে ধাপে বাকশাল কায়েমের লক্ষে একটার পর একটা আইন পরিবর্তন করছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স হলে রবিবার দুপুরে লাউঞ্জে ফ্রি থিংকারস ফোরাম আয়োজিত এমনেস্টি রিপোর্ট : বাংলাদেশে খুন-গুম অপহরণ- মানবাধিকার ও বিচার ব্যবস্থা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
হান্নান শাহ বলেন, ‘শেখ মুজিবের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার কাজে হাত দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার পিতার একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাস্তবায়নেই শেখ হাসিনা এখন কাজ করছেন।’
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী সভায় জাসদকে স্থান দিয়ে প্রমাণ হয়েছে বিএনপি নয় আওয়ামী লীগই জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে গুম-খুন-অপহরণ শুরু হয়। সে সময় বিএনপি বা নিজামে ইসলামী ছিল না। সরকারের এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে জাসদের জন্ম হয়। তখন সরকারের বিরুদ্ধে শসস্ত্র সংগ্রাম করায় জাসদ একটি সন্ত্রাসী দলে পরিণত হয়।’
হান্নান শাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। তারা কখনই মৌলিক অধিকারে বিশ্বাস করে না।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের কথা বললেই আওয়ামী লীগ নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে যায়। তারা জানে তাদের সঙ্গে জনগণ নেই। সুষ্ঠ নির্বাচন হলে তারা জামানত ফেরত পাবে না।’
মানবাধিকার কমিশনকে উদ্দেশ্য করে হান্নান শাহ বলেন, ‘মানবাধিকার কমিশন দেশের মানবাধিকার রক্ষার ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করতে পারে নাই। তাদের উচিৎ কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সকলের পদত্যাগ করা।’
হান্নান শাহ বলেন, ‘এ কে খন্দকার তার বইয়ে প্রত্যেকটি সত্য কথা লিখেছেন। তাতে আওয়ামী লীগের নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বানিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ কায়দা করে বলেছেন, শেখ মুজিবের ভাষণের সময়ে তিনি কাছে ছিলেন কিন্তু শেষ শব্দটা শুনেননি।’
তিনি বলেন, ‘সেদিন লাখ লাখ মানুষ শুনেছে শেখ মুজিব শেষ শব্দ বলেছেন জয় পাকিস্তান। তেমনি ২৬ মার্চে লাখ লাখ লোক শুনেছে জিয়াউর রহমানের কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা।’
সরকারকে উদ্দেশ্য করে হান্নান শাহ বলেন, ‘সময় আছে জনগণের ভাষা বুঝে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন। অন্যথায় আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের পতন ঘটানো হবে। তখন পালানোর পথ পাবেন না।’
অতি দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠ নির্বাচনের ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানান হান্নান শাহ।
এ সময় তিনি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানসহ সকলের পদত্যাগ দাবি করেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমানসহ সংগঠনের নেতারা। বেঙ্গলিনিউজটোয়েন্টিফোর.কম ডেস্ক