আব্বাস-সোহেলের অগ্নি পরীক্ষা

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার বিধান রেখে সংসদে পাস হওয়া সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের দাবিতে ২০দলের ডাকা সোমবারের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঢাকা মহানগর বিএনপির অভিভাবক মির্জা আব্বাস এবং তার রানিংমেট হাবীব উন নবী খান সোহেলের জন্য অগ্নি পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

তারা মনে করছেন, দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাস পর ২০দলীয় জোটের ডাকা সোমবারের হরতাল সফল করার মধ্য দিয়ে নবগঠিত ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস এবং সদস্য সচিব হাবীব উন নবী খান সোহেলকে সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে।

সূত্রমতে, বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মী মনে করেন আব্বাস-সোহেলের পূর্বসুরি খোকা-সালামের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ তা কেবল এ হরতালকে কেন্দ্র করেই।

টানা ৩ বছর ২ মাস দায়িত্ব পালনকালে ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা ও সদস্য সচিব আবদুস সালাম ‘চলো চলো ঢাকা চলো’সহ নানা ইস্যুতে খালেদা জিয়ার একাধিক মহাসমাবেশ, জনসভা, গণমিছিল, গণঅবস্থান, গণঅনশন ও মহাখালী থেকে সদরঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ মানবপ্রাচীর কর্মসূচি সফলতার সঙ্গে শেষ করেন।

রাজধানীর নয়াপল্টন, মতিঝিল শাপলা চত্বর, মহানগর নাট্যমঞ্চ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ ও জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বর এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ওইসব কর্মসূচিতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটাতে সক্ষম হয় খোকা-সালামের কমিটি।

কিন্তু হরতাল-অবরোধ এলেই ঢাকা মহানগরের কোনো নেতাকর্মীকে আর মাঠে দেখা যায়নি। এখানেই বার বার ব্যর্থ হয় খোকা-সালামের কমিটি।

সর্বশেষ গত বছর ২৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ সফল করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয় ঢাকা মহানগর বিএনপি। ওই সময় কারাবন্দি থাকা সত্ত্বেও কমিটির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকার ওপর ব্যর্থতার সমস্ত দায় বর্তায়। আর ওই দায় স্বীকার করে চলতি বছরের মার্চ মাসে দায়িত্ব থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।

সূত্র জানায়, সাদেক হোসেন খোকা দায়িত্ব থেকে সরে দাড়ানোর ৪ মাস পর ১৮ জুলাই মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবীব উন নবী খান সোহেলকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগরের জন্য নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা গঠন করেন খালেদা জিয়া।

দলের নেতাকর্মীরা মনে করছেন, দুই মাস আগে ঘোষিত ঢাকা মহানগর বিএনপির নতুন কমিটিকে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি।

কমিটি ঘোষণার পর ১৬ আগস্ট গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে রজাধানীতে কালো পতাকা প্রদর্শন ও মৌন মিছিল করেছে ২০দলীয় জোট।

এর দুই দিন পর ১৯ আগস্ট জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়নের প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিক্ষোভ সভা করে ২০দলীয় জোট।

তবে, এ দু’টি কর্মসূচিতে প্রত্যাশা অনুযায়ী লোকসমাগম ঘটিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও সোমবারের হরতালকে আব্বাস-সোহেলের জন্য অগ্নি পরীক্ষা হিসেবে দেখছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

সূত্রমতে, নেতাকর্মীদের এমন মনোভাবের বিষয়টি এরই মধ্যে আঁচ করতে পেরেছেন মহানগর বিএনপির ওই দুই অভিভাবক। তাই নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণে সব ধরনের তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন তারা।

জানা গেছে, শনিবার হরতাল ঘোষণার পর পরই ঢাকা মহানগরের প্রত্যেকটি থানা ও ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদেরকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আব্বাস-সোহেল। কাকে কোনো এলাকায় পিকেটিং করতে হবে সেটিও ঠিক করে দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাবীব উন নবী খান সোহেল রোববার সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এরইমধ্যে সবগুলো থানা ও ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে কথা বলেছি এবং শান্তিপূর্ণভাবে পিকেটিংয়ের নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি তারা মাঠে থেকে হরতাল সফল করবে। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫