স্পোর্টস ডেস্ক ॥ জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মুশফিক ও জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডির বিয়ে সম্পন্ন হয় রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে।
বিয়ের অনুষ্ঠান অনেকটা ঘরোয়া পরিবেশেই হয়েছে। বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হবে পরে। তবে মুশফিকের বিয়ে নিয়ে মিডিয়ার সঙ্গে লুকোচুরি খেলা হয়। বুধবার গায়েহলুদের রাতে মুশফিকের পরিবার থেকে জানানো হয় অফিসার্স ক্লাবে বিয়ের অনুষ্ঠান হবে। একাধিক গণমাধ্যমেও বিষয়টি উঠে আসে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে জানা যায় অফিসার্স ক্লাবে নয় লেডিস ক্লাবে মুশফিক-মন্ডির বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছে।
গায়েহলুদের অনুষ্ঠানের মতো বিয়ের অনুষ্ঠানেও মিডিয়াকর্মীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিল। লেডিস ক্লাবের বাইরে মিডিয়াকর্মীরা মুশফিক-মন্ডির জন্যে অপেক্ষা করতে থাকে। রাত সাড়ে আটটার পর সাদা হিউন্দাই সোনাটা গাড়ীতে চড়ে লেডিস ক্লাবে আসেন মন্ডি। তাকে বরণ করে নেন তাঁর দুলাভাই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মন্ডি পৌঁছার কিছুক্ষণ পরই অনুষ্ঠানস্থলে আসেন মুশফিক। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মুশফিক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে মাস্টার্স শেষ করেছেন। আর জান্নাতুল কিফায়াত বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়ছেন।
২৭ সেপ্টেম্বর আর্মি গলফ গার্ডেনে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে মুশফিকের পরিবার। ঈদের পর মুশফিকের গ্রামের বাড়ি বগুড়ায় আরো একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা রয়েছে।
ছেলের বিয়ে প্রসঙ্গে মুশফিকুর রহিমের বাবা মাহবুব হামিদ জানান, ‘আমার ছেলে খুব খুশি বিয়েতে। ওর খুশি দেখে আমাদেরও ভাল লাগছে। আশা করি, নতুন জীবন ও ভালোভাবেই সামলাতে পারবে। দেশের সবার কাছে আমি আমার ছেলের নতুন জীবনের জন্য দোয়া চাইছি।’
উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবর মাসে আংটি বদল করেছেন মুশফিক ও মন্ডি। জাতীয় দলের আরেক ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শ্যালিকা মন্ডি। মুশফিকের সঙ্গে পরিচয় গত বছরের শুরুতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে। পরিচয় থেকে টুকটাক কথাবার্তা, এরপর প্রেম থেকে শুভ পরিণয়।