বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: কক্সবাজারের বৌদ্ধবিহারে হামলার ঘটনায় দুই বছরে এসে ৯৫৪ জন আসামির মধ্যে আটক হওয়া প্রায় পাঁচ শতাধিক আসামি রয়েছে জামিনে। বাকিরা পলাতক।
আর ২০১৩ সালের মে মাসের পর থেকে চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় আছে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট মামলাটি। মোট ১৯ মামলার তিন দফায় সর্বশেষ চার্জশিট দেওয়া হয়েছে চলতি বছরের জুলাইয়ে।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ফেসবুকের একটি ছবি ট্যাগ করাকে কেন্দ্র করে রামু বৌদ্ধবিহার ও বসতিতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লটুপাটের ঘটনা ঘটে। ৩০ সেপ্টেম্বর একই ঘটনা ঘটে উখিয়া ও টেকনাফে। এসব ঘটনায় রামু, উখিয়া, টেকনাফ ও কক্সবাজার সদরে ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়। ওই ১৯টি মামলায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে ১৩টি। অপর ৬টি মামলার বাদী ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন।
এদিকে একই বছরের ১০ ডিসেম্বর রামুর ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। ১৩ ডিসেম্বর আদালত ঘটনা তদন্তে সাত দিনের মধ্যে বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইন সচিবকে নির্দেশ দেন। কমিটিতে কর্মরত বা অবসরপ্রাপ্ত দুই জেলা জজ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়।
আদালতের এ নির্দেশের পর চট্টগ্রামের দায়রা জজ মো. আবদুল কুদ্দুস মিয়া, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ মোস্তফা করিম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (কারা-২) মোঃ জহুরুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
এ কমিটি ২০১৩ সালের ১৬ মে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দেন। সেই থেকে এ মামলাটি চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ুয়া।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, বিচারতো আটকে আছে। রিট মামলাটি গত বছরের মে মাস থেকে চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় আছে।
মামলার চার্জশিট হয়েছে, কিন্তু আসামিরা জামিনে বেরিয়ে এলাকায় দাপট নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলেও জানান সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।
কক্সবাজার আদালতের পুলিশের পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন খান বাংলানিউজকে বলেন, সবগুলো মামলার চার্জশিট হয়ে গেছে। মামলাগুলো এখন ম্যজিস্ট্রেট আদালতে (রামু-৮, সদর-২, টেকনাফ-২ ও উখিয়া-৭) বিচারাধীন রয়েছে। চার্জশিটে এসব মামলায় মোট আসামি হচ্ছেন ৯৪৫ জন।
তিনি বলেন, পাঁচ শতাধিক আসামি গ্রেফতারের পর তারা আদালতের মাধ্যমে জামিনে রয়েছেন। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম