মার্চ থেকে মূলধন সংরক্ষণ নতুন নিয়মে

বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
ঢাকা: চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিক থেকে আন্তর্জাতিক নীতিমালা ব্যাসেল-৩ এর আলোকে ব্যাংকগুলোর মূলধন সংরক্ষণ ও প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিতে হবে। মার্চ ভিত্তিক প্রতিবেদন আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগ থেকে নির্ধারিত ফর্ম অনুযায়ী অনলাইনের মাধ্যমে এ প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাসেল-৩ পরিপালনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। সে অনুযায়ী, চলতি বছর থেকে নতুন নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলোর মূলধন সংরক্ষণ ও প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরআইটি ওয়েব পোর্টাল ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাসেল-৩ বাস্তবায়ন নীতিমালা ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৯ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ব্যাংকের মূলধন উন্নীত করতে হবে মোট ঝুঁকি ভিত্তিক সম্পদের সাড়ে ১২ শতাংশে। যদিও চলতি বছর বর্তমানের মতো মোট ঝুঁকি ভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ হারে মূলধন রাখতে হবে। তবে এর মধ্যে অন্তত সাড়ে ৪ শতাংশ হতে হবে উদ্যোক্তা মূলধন। আর ২০১৬ সাল থেকে আপৎকালীন সুরক্ষা সঞ্চয় (কনজারভেশন বাফার) হিসেবে ধীরে-ধীরে মূলধন বাড়িয়ে ২০১৯ সালে ঝুঁকি ভিত্তিক সম্পদের সাড়ে ১২ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।

এই সাড়ে ১২ শতাংশে উন্নীত করতে বর্তমানের তুলনায় অতিরিক্তি হিসেবে ২০১৬ সালে রাখতে হবে শুন্য দশমিক ৬২৫ শতাংশ। পরবর্তী বছর এক দশমিক ২৫, তার পরের বছর এক দশমিক ৮৭ এবং ২০১৯ সালে ২ দশমিক ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।

প্রসঙ্গত, সুইজারল্যান্ডের ব্যাসেলে ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্টের (বিআইএস) সদর দপ্তর অবস্থিত। সে স্থানের নামানুযায়ী ব্যাংক খাতের আন্তর্জাতিক বিধানকে ব্যাসেল বলা হয়ে থাকে। প্রথম পর্যায়ে প্রণীত বিধান ব্যাসেল-১, দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্যাসেল-২ এবং তৃতীয় পর্যায়ে প্রণীত বিধান ব্যাসেল-৩ নামে পরিচিত। বাংলাদেশে ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ব্যাসেল-২ নীতিমালা বাস্তবায়ন শুরু হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসেবে অনুযায়ী, ব্যাসেল-২ নীতিমালার আলোকে গত সেপ্টেম্বর ভিত্তিতে ৮টি ব্যাংক প্রয়োজনীয় মূলধন সংরক্ষণ করতে পারেনি। এই ব্যাংকগুলোর ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা। এর প্রভাবে সামগ্রিক ব্যাংক খাতে ওই সময়ে এক হাজার ৯৬ কোটি টাকা ঘাটতি দাঁড়িয়েছে। বাংলামেইল২৪ডটকম

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সাম্প্রতিক সংবাদ

আর্কাইব

Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  

প্রধান সম্পাদক : সাঈদুর রহমান রিমন
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ নজরুল ইসলাম আজহার

সার্বিক যোগাযোগ : চৌধুরী মল (৫ম তলা), ৪৩ হাটখোলা রোড, ঢাকা-১২০৩॥

গাজীপুর অফিস : এ/১৩১ (ইকবাল কুটির) হাবিব উল্লাহ স্মরণী, জয়দেবপুর, গাজীপুর-১৭০০॥

হটলাইন: ০১৭৫৭৫৫১১৪৪ ॥ সেলফোন : ০১৭১৬-৩৩৩০৯৬ ॥ E-mail: banglabhumibd@gmail.com

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত বাংলাভূমি ২০০৯-২০২৫