স্টাফ রিপোর্টার ॥
ঢাকা: ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (ডিসিসি) দুই অংশ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনের ব্যয় আগের চেয়ে তিন গুণ বাড়িয়ে ধরা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বাজেট শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, ডিসিসি উত্তর ও দক্ষিণের নির্বাচনের জন্য এবার ৪০ কোটি টাকা বাজেট রেখে নির্বাচনী প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে ইসি। যদিও অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ৪৫ কোটি টাকা এ নির্বাচনের জন্য থোক বরাদ্দ নিয়েছে কমিশন। অতিরিক্ত হিসেবে ৫ কোটি টাকা রেখেছে যাতে প্রয়োজনে কোনো ঘাটতি দেখা না দেয়।
২০০২ সালে একীভূত ডিসিসির সর্বশেষ নির্বাচনে ইসির ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১৩ কোটি টাকা। সে হিসেবে এ নির্বাচনে এবার ব্যয় ধরা হয়েছে তিন গুণ।
অন্যদিকে ২০১০ সালে চসিক নির্বাচনে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ৭ কোটি টাকা। এবার সে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা।
সবমিলিয়ে এ ৩ সিটি নির্বাচনের জন্য এবার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা। আগে যেখানে ব্যয় হয়েছিল ২০ কোটি টাকার মতো।
এ বিষয়ে ইসির বাজেট শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এনামুল হক বলেন, নির্বাচনী উপকরণ বাবদ খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং দ্রব্যমূল বৃদ্ধির কারণে সম্ভাব্য ব্যয় তিন গুণ ধরা হয়েছে। এছাড়া ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সম্মানিও আগের চেয়ে ৩ গুণ বাড়ানো হয়েছে। তবে মোট নির্বাচনী বাজেটের বেশিভাগ ব্যয় হবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেছনে।
৬০ কোটি টাকার সম্ভাব্য বাজেটের প্রায় ৩৫ কোটি টাকা বিভিন্ন বাহিনীর পেছনে ব্যয় করতে হবে। অবশিষ্ট ২৫ কোটি টাকার মতো খরচ হবে নির্বাচন ব্যবস্থাপনার জন্য- বলেন ওই কর্মকর্তা। তবে এ বাজেট বরাদ্দে কিছু এদিক সেদিক হতে পারে। কেননা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোতায়েন বেড়ে গেলে ব্যয় আরো বাড়বে। আর মোতায়েন কমলে ব্যয়ও কমবে।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশন:
বিভক্ত হওয়ার আগে ডিসিসিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০০২ সালের ২৫ এপ্রিল। সে সময় ভোটার ছিল ২৮ লাখ ৬৯ হাজার ২৮ জন। বর্তমানে দুই সিটিতে মোট ভোটার রয়েছে ৪২ লাখ ১৯ হাজার ৬৭৬ জন।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন:
চসিক নির্বাচনের সর্বশেষ ভোট হয়েছিল ২০১০ সালের ১৭ জুন। তখন ভোটার ছিল ১৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬৭৬ জন। বর্তমানে এ সিটির মোট ভোটার ১৮ লাখ ২২ হাজার ৮৯২ জন।