বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে অনলাইন নির্ভরতা বাড়ছে ব্যাংকগুলোর। তবে এখনো পিছিয়ে আইটি নিরাপত্তা। আইটি খাতে বিনিয়োগের মাত্র ৫ ভাগ ব্যয় হচ্ছে নিরাপত্তায়। বড় বিপর্যয় এড়াতে ব্যাংকগুলোকে এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। যার পুরো অর্থ এখনো উদ্ধার হয়নি। এর ঠিক পরের দিন ইউসিবিএল ইস্টার্ন ব্যাংক ও দি সিটি ব্যাংকের বুথে এটিএম মেশিনে স্কিমিং ডিভাইস বসিয়ে ২৫ লাখ টাকা তুলে নেয় জালিয়াত চক্র। এসব ঘটনার পর প্রশ্ন ওঠে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর দেশের ব্যাংকিং খাতের নিরাপত্তা নিয়ে ।
ব্যাংক ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইবিএমের হিসেবে গত বছর দেশের ব্যাংক খাতে আইটির জন্য বিনিয়োগের ৮২ ভাগই খরচ হয়েছে সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও নেটওয়ার্কিং যন্ত্রপাতি কেনায়। আর আইটির নিরাপত্তায় খরচ হয়েছে মোট বিনিয়োগের মাত্র ৫ ভাগ। অথচ আন্তর্জাতিক স্বীকৃত মান অনুযায়ী ব্যয় হওয়ার কথা ছিল মোট বরাদ্দের ১৫ ভাগের বেশি অর্থ।
নিরাপত্তা ঝুঁকি স্বীকার করে সম্প্রতি এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বলে দাবি ব্যাংক কর্মকর্তাদের।
এ বিষয়ে গবেষকরা বলেন, ব্যাংকিং খাতে আইটির ক্ষেত্রে বড় সমস্যা অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনবলের অভাব। অডিটের সময় আইটি দুর্বলতা ধরা না পড়ায় বড় বড় জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে বলেও মনে করছেন তারা।
গত বছর দেশের ব্যাংকগুলো আইটি খাতে খরচ করেছে প্রায় ১৮শ কোটি টাকা। এ খাতে যথাযথ বিনিয়োগ হলে ব্যাংকের বাড়তি খরচ কমে যাবে বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।
সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট টিভি