স্পোর্টস ডেস্ক ॥
২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে এক ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে দলের সাফল্যের মূল নায়ক ছিলেন মিরাজ। এর আগে চট্টগ্রামে প্রথম টেস্টে সাত উইকেটসহ সেই সিরিজে মোট ১৯ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। আর এ নায়ক নাকি খুলনায় টিনের চালের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে উদ্যোগী হয়ে বাংলাদেশ দলের তরুণ এই অলরাউন্ডারের পরিবারের জন্য বাড়ি নির্মাণের নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। তারই ধারাবাহিকতায় খালিশপুরেই মিরাজকে তিন কাঠা জমি দিচ্ছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে মিরাজের হচ্ছে ৩ কাঠা জমি।
খবরটি মিরাজ নিজেই জানিয়ে বলেন, ‘গত বছরই আমাকে জানানো হয়েছিল জমি দেওয়া হবে। আগামী মাসেই সব কিছু আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝে পাব। হয়তো আরো আগেই পেয়ে যেতাম, আমি ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকায় কিছুটা দেরি হয়েছে।’
বড় সুখবরই পেয়েছেন। এবার মাঠেও সুখবর দেওয়ার পালা মিরাজের। বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে তাঁর দল রাজশাহী কিংস ৬ উইকেটে হেরেছে রংপুর রাইডার্সের কাছে।
তবে এটি নিয়ে উদ্বিগ্ন নন তরুণ অলরাউন্ডার, ‘শুরুটা ভালো হয়নি, খারাপও হয়নি। গত বিপিএলেও শুরুটা ভালো হয়নি আমাদের। শেষ পর্যন্ত আমরা কিন্তু ফাইনালে উঠেছিলাম। এ বছর দলটি ভালো হয়েছে। একটি ম্যাচ হারতেই পারি। এখনো ১১টা ম্যাচ আছে। ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই আমরা।’
জানা যায়, মহানগরীর মুজগুন্নি আবাসিক এলাকায় (মুজগুন্নী প্রধান সড়ক) প্লট নং-এম-৪৪, জমির পরিমাণ ৩ দশমিক ৭ কাঠা জমি পাচ্ছেন তরুণ এ অলরাউন্ডার। বিপিএল শেষে খুলনায় ফিরলেই তার কাছে এ জমি ও দলিল হস্তান্তর করা হবে।
খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’র (কেডিএ) প্রধান প্রকৌশলী কাজী মো. সাবিরুল আলম বলেন, মিরাজের জমি বরাদ্দ গেলো সপ্তাহে হয়েছে। ১০০১ টাকা প্রতীকি মূল্য রেখে জমিটি তার নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বিপিএল খেলা শেষে মিরাজ ১০ দিনের ছুটিতে বাড়ি আসবেন। এসময় তার নামে জমি রেজিস্ট্রি হবে। একইসঙ্গে জমির দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে। দলিল হস্তান্তরের পর তাকে বাড়ির নকশা করার প্রস্তাব করা হবে। সে প্রস্তাবনা অনুমোদন সাপেক্ষে এস্টিমেট করা হবে। তারপর ভবন নির্মানের কাজ শুরু হবে।