স্টাফ রিপোর্টার ॥
অবশেষে চীনের এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে শুরু হতে যাচ্ছে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগের কাজ। এখন পর্যন্ত সেতুর কাজ প্রায় অর্ধেক শেষ হলেও অর্থায়ণ জটিলতায় রেলপথ যোগ করার কাজ শুরুই করা যায়নি। তবে এখন এই বাঁধা কেটে গেল চীনা ব্যাংকটির অর্থায়নের মাধ্যমে। সূত্র: ডিবিসি নিউজ
জানা যায়, আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে পদ্মা সেতুতে রেল পথের কাজ শুরু করা হবে। সেতুটি চালুর দিন থেকেই যেন বাস ও ট্রেন চলাচল করতে পারে সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই কাজ করবে রেলওয়ে।
২০১৬ সালের ৩ মে একনেক সভায় অনুমোদন করা হয় পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ প্রকল্প। আর এতে খরচ ধরা হয় প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা। শুরুতে পুরো টাকা চীনের এক্সিম ব্যাংক দেওয়ার কথা থাকলেও পরে ২৫ হাজার কোটি টাকার মতো ঋণ দিতে রাজি হয় তারা। আর সেই ঋণ চুক্তি করা নিয়েই দেখা দিয়েছিল জটিলতা।
রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ মুজিবুল হক বলেন, পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্পে আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে উপস্থিত হয়েছি। এই মাসে লোন এগ্রিমেন্ট করা হবে। লোন এগ্রিমেন্ট হওয়ার পরেই কার্যাদেশ দেওয়া হবে এবং রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, সেতু চালু হওয়ার দিনই যেন ঢাকা থেকে মাওয়া হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করতে পারে সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করবে রেলওয়ে।
পদ্মার বুকে দেশের সবচেয়ে বড় এবং নিজেদের অর্থয়ানে তৈরি হতে যাওয়া দেশের প্রথম সেতুর একটি স্পেন ইতোমধ্যে বসে গেছে পাশাপাশি চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ।
২০২২ সালের জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে ভাঙ্গা জংশন থেকে যশোর পর্যন্ত রেলপথ বসানোর কাজও শেষ করা যাবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।