স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর মহানগরের মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা আক্তার হোসনার বিরুদ্ধে রাস্তার জমি দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডের উত্তর বিলাশপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের নাম ভাঙ্গীয়ে ওই ভবন নির্মাণ করেছে হোসনা। এ বিষয়ে গত ১৫ জুন রাজধানী উন্নয়ন (রাজউক) এক লিখিত চিঠিতে ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার আদেশ দিয়েছেন।
সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর মহানগরের মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা আক্তার হোসনা মহানগর এবং গাজীপুর জেলার শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে শহরের উত্তর বিলাশপুর এলাকায় সরকারী খাস রেকর্ডিয় রাস্তার জমি দখল করে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ ছাপড়া ঘর নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছে। সম্প্রতি ঐ জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণ করার জন্য কনস্ট্রাকশনের কাজ শুরু করেন। এ খবর পেয়ে রাজধানী উন্নয়নের (রাজউক) গাজীপুর অফিস এক পরিপত্রের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার আদেশ দেন। কিন্তু তিনি উক্ত আদেশ অমান্য করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন। পরে রাজউক কর্তৃপক্ষ মেট্রোপলিটন সদর থানাকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে পুলিশ নির্মাণ কাজ বন্ধ করে জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে থানায় উপস্থিত থাকার জন্য সাত দিনের সময় দেন। সময় পার হয়ে গেলেও তিনি কাগজ দেখাতে পারেননি। এছাড়া উক্ত জমি সংলগ্ন মসজিদ উন-নূর জামে মসজিদের দেয়াল ঘেষে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করায় কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসক এবং সদর এসিল্যান্ড (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, বর্তমান সময়ে সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের জন্য স্থানীয়দের অনেকের বহুতল ভবন, দোকানপাট ভেঙ্গে রাস্তা প্রশস্তকরণ হচ্ছে। অথচ ফাহিমা আক্তার হোসনা ক্ষমতার অপব্যবহার করে আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিনে রাস্তার উপর ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। তিনি এলাকার কাউকে কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে সরকার দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে যা ইচ্ছে তাই করে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে ফাহিমা আক্তার হোসনা জানান, একটি কুচক্রি মহল তার সম্মান ক্ষুন্ন করার লক্ষে বিভিন্ন ভাবে পায়তারা করছে। উত্তর বিলাশপুর এলাকার ঐ জমিটি তিনি ১৯৯৪ সালে ক্রয় করেছেন। জমির সকল কাজপত্রই তার কাছে রয়েছে। তার ক্রয় করা জমির মাঝখানে আধা কাঠারমত খাস জমি রয়েছে। মাঝখানে থাকাতে জমিটুকু বাদ দিয়ে স্থাপনা করা সম্ভব নয়। তিনি পূর্ব থেকে ঐ জমিতে একটি ছাপড়া ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখলে রেখেছেন। ছাপড়া ঘরটি ভেঙ্গে যাওয়ায় সেখানে ছাদ দিয়ে ভবন নির্মাণ করছেন। তাছাড়া খাস জমিটুকু লিজ নেয়ার জন্য জেলা প্রশাসক এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। রাজউক থেকে চিঠি দেয়ার পর তিনি নির্মাণ কাজ বন্ধ রেখেছেন।
রাজউক সূত্রে জানা যায়, বহুতল ভবন নির্মাণে প্লান না থাকায় নোটিশ করা হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে কাজ বন্ধ করে জমির সকল এবং ভবন নির্মাণের সকল কাগজ দেখাতে বলা হয়েছে। যদি তিনি তা না করেন তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেক্ষেত্রে তিনি যে দলের বা গোষ্ঠির হন না কেন।