হাসিব খান:
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এ ‘রাইট টু ইনফরমেশন (আরটিআই): কনসেপ্টস, প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রোসিডিউর’ বিষয়ক দুইদিন ব্যাপী কর্মশালা ২ ফেব্রুয়ারি বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুরু হয়েছে। ডুয়েটের অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স এগ্রিমেন্ট (এপিএ) টিমের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হাবিবুর রহমান। এ সময় তিনি তথ্য অধিকারের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, উন্নত, সমৃদ্ধ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য তথ্যের অবাধ প্রবাহ অত্যন্ত জরুরি। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সকল নাগরিকের তথ্য পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তিনি আরো বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দূর্নীতি হ্রাস ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে তথ্য অধিকার বাস্তবায়নের জন্য যথাযথভাবে কাজ করতে হবে। এছাড়া তিনি সকলকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শনকে লালন করে দেশ প্রেমের মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হয়ে উন্নত রাষ্ট্র গড়ার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রশীদ। এ সময় তিনি তথ্য অধিকারের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন এপিএ টিমের টিম লিডার ও ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রাজু আহমেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আনওয়ারুল আবেদীন। কর্মশালায় ‘কনসেপ্টস অ্যান্ড ইমপর্টেন্স অব রাইট টু ইনফরমেশন ’ শীর্ষক টেকনিক্যাল সেশনটির রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশনের সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান এবং ‘রাইট টু ইনফরমেশন (আরটিআই) : প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রোসিডিউর’ শীর্ষক টেকনিক্যাল সেশনটির রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব এবং তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ)-এর দপ্তরের পাবলিকেশন কাম ইনফরমেশন অফিসার মো. জিয়াউল হক। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, অফিস প্রধানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।