রবিবার , ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ , ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১৮ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > জাতীয় > ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি বাড়ছে

ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি বাড়ছে

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিত্য দিনের কেনা-কাটায় বাংলাদেশের শহুরে মানুষের মধ্যে এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। কিন্তু সেই সঙ্গে বাড়ছে এ ধরণের কার্ড নিয়ে জালিয়াতির ঘটনাও।

বুধবার বাংলাদেশের গোয়েন্দা পুলিশ ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে ব্যাংক কর্মীও রয়েছেন।

বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার শুরু হয় নব্বুই এর দশকের মাঝামাঝি থেকে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২৫ লরে মতো মানুষ ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করছেন।

তবে ইদানিং কালে এসব কার্ড জালিয়াতির বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে।

দেড় মাস আগেই শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের সমন্বিত এক চক্রকে গোয়েন্দারা ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছিল। এবারে বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথ পরিচালনার কাজে জড়িতদের পাওয়া গেল কার্ড জালিয়াতিতে।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে এই প্রতারকরা অভিনব উপায়ে মূলত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ক্রেতাদের পিন নম্বর ও পাসওয়ার্ড চুরি করেছিল। এরপর তারা ইতোমধ্যে জাল কার্ড বানিয়ে দু কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে গোয়েন্দাদের জানিয়েছে।

গোয়েন্দা বিভাগের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, “এরা ব্যাংকের এটিএম বুথগুলো দেখাশোনার কাজ করতেন। ফলে তারা বিভিন্ন এটিএম বুথ সম্পর্কে জানতেন। তারা পেন ড্রাইভে তথ্য চুরি করে নিতেন। গোপনে ক্যামেরা দিয়ে পিন ও পাসওয়ার্ড জেনে নিতেন। এরপর কার্ডের ভুয়া কপি বানিয়ে তারা জালিয়াতি চালাতেন।”

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে কার্ডের ব্যবহার শুরু হলেও পরের দশকের শুরু থেকে থেকে এর ব্যবহার বাড়তে থাকে।

অন্যান্য দেশের সাথে তুলনা করলে বাংলাদেশে জালিয়াতির ঘটনা এখনো কম। কিন্তু জালিয়াত চক্র এখন বেশি করে বাংলাদেশকে টার্গেট করছে বলে সন্দেহ করছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।

সিটি ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশরুর আরেফিন বলেন, “ইতোমধ্যে নাইজেরিয়া বা শ্রীলংকার অনেক গ্রুপকে এই জালিয়াতিতে সক্রিয় দেখা গেছে। কার্ড জালিয়াতি বিশ্বব্যাপী বিলিয়ন ডলার ব্যাবসা তবে বাংলাদেশে এর পরিমান খুবই কম। ধারনা করি বছরে এক মিলিয়ন ডলারেরও হয়তো কম হবে।”

মাশরুর আরেফিন বলেন, বাংলাদেশে মূলত পরিচয় চুরি করেই কার্ড জালিয়াতি হচ্ছে। আবার অনেক সময় দোকানের সঙ্গে মিলে প্রতারকরা কার্ড জালিয়াতি করে। তিনি জানান, এ ধরণের জালিয়াতির ঘটনা বাড়ছে এখন।

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় বাংলাদেশে ব্যাংক বলছে বর্তমানে দেশে প্রায় ২৫ ল ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহৃত হচ্ছে বলে ধারনা করছেন তারা। যদিও কার্ড জালিয়াতির ঘটনা কম, তারপরও তারা এ বিষয়ে নিরাপত্তা বাড়াতে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর বলেন, আমরা এর নিরাপত্তার বিষয়গুলো বাড়ানোর চেষ্টা করছি। যাতে করে নিরাপদে টাকা লেনদেন করা যায়। আমরা কার্ডের নিরাপত্তা কিভাবে বাড়ানো যায় সেগুলো নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছি। আমরা চাই পেমেন্ট সিস্টেম উন্নত, সহজ ও দ করতে। এ পর্যন্ত যা ঘটেছে এখনো তা আতংকিত হওয়ার মত নয়, তারপরও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

এস কে সুর আরো বলেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর সাথে আলাপ করে কার্ডের নিরাপত্তা বাড়ানো সহ কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে আরো দ করতে প্রশিণের বিষয়েও তারা নজর দিচ্ছেন।(ননপ)