কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ॥
নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
মঙ্গলবার ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
জেলা ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নের ৪ শতাধিক গ্রামের প্রায় ৫ লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। প্রায় ৫৫ হাজার হেক্টর জমির আমনসহ অন্যান্য ফসল পানিতে ডুবে গেছে।
প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে আরো নতুন নতুন এলাকা। বাড়ছে বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য ও গবাদী পশুর সংকট। দেখা দিচ্ছে রোগ ব্যাধি। অপ্রতুল ত্রাণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জনপ্রতিনিধিরা। দু’ সপ্তাহেরও বেশি সময় পানিবন্দি থাকলেও অনেকেই এখনও কোনো ত্রাণ সহায়তা পাননি। ফলে দর্বিসহ হয়ে উঠেছে তাদের জীবন। দুর্গতদের দেখতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মঙ্গলবারের নির্ধারিত সফর সকালে বাতিল করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়েছে।
জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, এ পর্যন্ত ৫০০ মেট্রিকটন চাল ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পর্যাক্রমে তা বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ চলছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলায় ২১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রে ১৪ সেন্টিমিটার, দুধকুমোরে ১৪ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।