স্টাফ রিপোর্টার ॥ ছেলে শিশুদের দিয়ে পর্নো ছবি তৈরি করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে বাণিজ্য করার মূল হোতা শিশু সাহিত্যিক টিপু কিবরিয়া ও তার দুই সহযোগীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।
গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর মুগদা থেকে সিআইডির সাইবার ক্রাইমের একটি দল তাদের গ্রেফতার করে। এ সময় এক ভিকটিম শিশু ও শতাধিক পর্নো সিডিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
সিআইডি জানিয়েছে, এ ঘটনায় মুগদা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতার তিনজনকে আদালতে হাজির করে দ্বিতীয় দফায় তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। এর আগে তাদের একদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। উদ্ধার হওয়া শিশুটি আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।
এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অর্গানাইজড ক্রাইম) মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, প্রায় ১৫ দিন আগে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল থেকে জানানো হয় বাংলাদেশের শিশু ছেলেদের দিয়ে পর্নো ছবি করে বিদেশে বিক্রি করা হচ্ছে। সংস্থাটির অনুরোধে শিশু পর্নোগ্রাফির অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করে সিআইডির সাইবার ক্রাইমের একটি দল। এরপর মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে নিজস্ব স্টুডিও থেকে টিপু কিবরিয়া ও আপত্তিকর অবস্থায় তার সহযোগী নুরুল আমিনকে গ্রেফতার এবং ১৩ বছরের এক ভিকটিম শিশুকে উদ্ধার করা হয়। স্টুডিও এবং টিপুর খিলগাঁওয়ের তারাবাগের ১৫১/২/৪২ নম্বর বাড়ির বাসা থেকে শতাধিক পর্নো সিডি, ৭০টি লুব্রিকেটিং জেল, ৪৮ পিস আন্ডারওয়ার, স্টিল ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা, কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, সিপিইউ, ল্যাপটপসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। টিপুর দেয়া তথ্য মতে তার কমিশনভোগী সহযোগী শাহারুলকে গত বুধবার গোড়ান থেকে গ্রেফতার করা হয়।
আশরাফুল ইসলাম আরো জানান, টিপুর প্রকৃত নাম টিআইএম ফকরুজ্জামান। তিনি অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেদের নিয়ে ওই স্টুডিওতে পর্নো ছবি তৈরি করেন এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা বিক্রি করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টিপু জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের পর্নো সিডি তৈরি ও বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তা বিক্রি করে আসছিলেন। এই বিক্রির টাকা তিনি ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন মানি এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে গ্রহণ করতেন। ইতিমধ্যে শতাধিক ছেলে শিশুকে দিয়ে পর্নো ছবি তৈরি করেছেন এবং তা বিক্রি করে অঢেল অর্থ আয় করেছেন।