স্টাট রিপোর্টার ॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ (চার্জ) গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে আবেদনে ওই চার্জ বাতিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রোববার খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীরা সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। বুধবার বিচারপতি বোরহানউদ্দিন ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ মার্চ খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত হলেও শুনানি ছাড়াই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠন করেন আদালত।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পরে ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
অন্যদিকে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের দুর্নীতির মামলাটি করা হয়।
পরে ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
দুটি মামলারই বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক হারুনুর রশীদ।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর, তৎকালীন একান্ত সচিব ও বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
তবে হারিছ চৌধুরী এ মামলায় শুরু থেকেই পলাতক। অন্যরা সবাই জামিনে আছেন।