স্টাফ রিপের্টাার ॥ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, “কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্বারোপ করে সরকার কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরইমধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে চলছে।”
রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শারীরিক শিক্ষা মাঠে ‘কর্মমুখী শিক্ষার গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
বেসরকারি শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (এসআইটিসি)-এর ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, “২০০৮ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতা নেওয়ার সময় দেশের কারিগরি শিক্ষা ছিলো সবচাইতে অবহেলিত। তখন শতকরা একজনেরও কম শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা লাভ করতো। মহাজোট সরকার কারিগরি শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করে বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এ কারণে গত ৫ বছরে কারিগরি শিক্ষা বেড়েছে ৭ গুণ।”
তিনি আরো বলেন, “অনেক অভিভাবকই সন্তানকে পলিটেকনিকে দিতে চান না। কারণ তাদের ধারণা পলিটেকনিক শিক্ষায় বড় ডিগ্রি অর্জন হবে না। সাধারণ শিক্ষায় বিয়ের বাজারে কদর বাড়লেও চাকরির বাজারে চাকরি পাবে না।”
৫ বছরে কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, “সরকার কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এখন বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষা নিতে ভর্তি হচ্ছে। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই। উন্নত দেশগুলো কারিগরি শিক্ষার কারণেই এগিয়ে যাচ্ছে।”
কারিগরি পড়ুয়া দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাসিক ৮০০ টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, “প্রতি বছর ২ লাখ ২৫ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। সরকার গত ৫ বছরে ২৯১ টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে। এর বাইরে বেসরকারিভাবে প্রায় ৭ হাজার কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। চারটি মহিলা পলিটেকনিক করেছি। আরো দুইটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
ডুয়েট এ শুধুমাত্র পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরাই চাকরি করার সুযোগ পাবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন-এসআইটিসি’র অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাহজাহান মিয়া।