মনির হোসেন মিয়া ॥ সমাজের প্রতিটি স্তরে জীবনঘাতি মাদকদ্রব্য চলেগেছে যুবসমাজের হতে। হাত বাড়ালেই মিলছে নিষিদ্ধ মাদক। ছিন্নমূল মানুষের পাশাপশি উচ্চবিত্তের সন্তানদের অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকাসক্তির কারণে ঘর ছেড়ে অনেকেই আজ পথের বাসিন্দা। গত বছরে গাজীপুর সিটির কয়েকটি এলাকায় মাদক সেবনে মারাগেছে ১৫ জন মাদক সেবী।
আর মারা না গেলেও অনেকে জীবন্ত লাশ হয়ে ঘুরে বেড়ায় পথে পথে। কর্মক্ষমতা হারিয়ে মাদকাসক্তরা হয়ে পরে সমাজের ও পরিবারের বোঝাস্বরূপ। মাদকের টাকার যোগান দিতে গিয়েও অনেক পরিবারকে পথে বসতে হয়েছে। কিন্তু মাদক সেবীদের জীবনাশী ওই নেশার পথকে ফেরানো যায়নি। শুধু অর্থের লোভে কিছু মানুষ মাদকের নেশা ছড়িয়ে দিচ্ছে শিশু থেকে শুরু করে তরুণদের মধ্যে।
গাজীপুর সিটির বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় মাদক ব্যবসায়ীদের জাল বিস্তার করা আছে। মাদক গ্রহণকারীরা এক সময় মাদকের নেশায় ঘর ছেড়ে আসে। পরিবার তাদের আর গ্রহণ করে না। ঐ সকল মাদক সেবীদের ঠাই হয় রাস্তায় ধারে। তাদেরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে বিশাল মাদক সিন্ডিকেট।
গাজীপুর সিটির প্রায় এলাকায় সহজেই মেলেসর্ব প্রকার মাদকদ্রব্য। মেয়াদউত্তীর্ণ ইনজেকশন মাদক হিসেবে ব্যবহৃত হয় তাদেই ডেকে আনছে সর্বনাশ। শরীরের শিরায় ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণকারী অনেকেই বিভিন্ন অঙ্গ হারাচ্ছে কিংবা মারা যাচ্ছে। অন্যের শরীরে ব্যবহৃত সিরিজ ব্যবহারে মাধ্যমেও ছড়াচ্ছে এইডসসহ অন্যান্যে রোগজীবাণু।
এভাবে সমাজের একটি অংশ দিনের পর দিন নিজেদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। সমাজ ও পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে সামনের দিনগুলোতে এ সমাজ ভয়ংকর পরিস্থিতির সম্মূখীন হতে হবে। যারা এ সর্বনাশা মাদক বিক্রি করছে তারা চিহিৃত এই সিন্ডিকেট থেকে উদ্ধার পেতে আইনসৃংখলারক্ষাকারী মহলকে দেশপ্রেমের পরিচয় দিতে হবে। মাদক সিন্ডিকেটের মাসোহারার চেয়ে মানুষের জীবন অনেক মূল্যবান জীবনের প্রয়োজনে এই সিন্ডিকেট রুখতে হবে। একই সাথে মাদকাসক্তের পূর্ণবাসনের এগিয়ে আসতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থাকেও উদ্যোগ নিতে হবে। সবার সহযোগিতায় মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।