স্টাফ রিপোর্টার ॥ গাজীপুর মহানগরের দক্ষিণ সালনার (টেক কাথোরা ) এলাকায় পোশাক কারখানার কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন সেলিম হত্যা মামলার আসামিদের পুলিশ গ্রেফতার না করায় উক্ত কারখানার শ্রমিকরা গত ২৪ এপ্রিল সকালে সালনা বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এজহার সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার মৃত শাহেদ আলী বেপারীর ছেলে শালনা বাজারের পশ্চিম পার্শে বেষ্টওয়্যার নীটিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ এ নাজমুল হোসেন সেলিম এক্্িরকিউটিভ অফিসার হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি অফিসিয়াল কাজ শেষে প্রতিদিনের ন্যায় গত ৯ এপ্রিল ফ্যাক্টরীর থেকে রাত ১১টায় দক্ষিণ সালনা টেক কাথোরার ভাড়াটিয়া বাসায় যায়। ওই রাতেই ১২টার দিকে বাড়ির মালিক আশরাফুল আলম মন্ডল সেলিমের ঘরের সামনে গিয়ে সেলিমের নাম ধরে ডাকতে থাকে। এ সময় বাড়ির মালিকের কণ্ঠ শুনে সেলিম ঘরের দরজা খুললে বাড়ির মালিক আশরাফুল তার দুই সহযোগী জনি ও সোনা মিয়া সেলিমের উপর ঝাপিয়ে পড়ে এবং মারধর করতে থাকে এক পর্যায়ে আশরাফুলের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে এবং দুই সহযোগী পাটার পুতা দিয়ে সেলিমের মাথায় আঘাত করতে থাকে এ সময় সেলিমের আর্তচিৎকারে পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া হাফিজা খাতুন রুবি এগিয়ে আসলে আশরাফুল ও তার সহযোগীরা তাকেও মারধর করে পাশের রুমে আটকে রাখে। অনেক পরে রুবি আক্তারের দরজা খুলে দিয়ে তাকে পালিয়ে যেতে বলে এবং হুমকি প্রদান করে বলেন, ‘তুই সেলিমকে মারছিস এবং যা দেখেছিস চেপে যা কারও সাথে কিছু বলবিনা। কেউ যদি জানে তাহলে তোর অবস্থা খারাপ হবে’। এসব দেখে রুবি আক্তার পালিয়ে উক্ত ফ্যাক্টরীর নাইটগার্ড আফজালের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। তাৎক্ষণিক সেলিমের আত্বীয়-স্বজনকে জানালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে নাজমুল হোসেন সেলিম (৪২) এর মরদেহ পড়ে আছে। এসময় জয়দেবপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে থানার এসআই রাজিব ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
গত ১০ এপ্রিল নাজমুল হোসেন সেলিমের ছোট ভাই সাগর আহমেদ বাদি হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা {নং-৩০(৪)১৪}দায়ের করেন।
্এ মামলার বাদী সাগর আহম্মেদের সাথে গত ২৬ এপ্রিল বিকাল পৌনে ৫টায় সেলফোনে কথা হয়। তিনি হতাশ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১৯ দিন হলো আমার ভাইয়ের হত্যাকারীদের একজনকেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারলো না। জানি, আমার ভাইকে ফিরে পাবনা। আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।
গত ২৬ এপ্রিল বিকাল ৪টা ২৪ মিনিটে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো: গোলাম মোস্তফার সাথে সেলফোনে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অপর প্রান্তে রিং টোন বাজলেও রিসিভ হয়নি।