বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
দেশে সবচেয়ে অবহেলিত পরিবেশ প্রকৌশলীরা। বর্তমানে প্রায় এক হাজার পরিবেশ প্রকৌশলী বেকার রয়েছেন। এছাড়া অবকাঠামোগতভাবে এ বিভাগটি সবচেয়ে দুর্বল।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও প্রকৌশলীদের সংগঠন বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের মানববন্ধনে এ অভিযোগ করা হয়। মানববন্ধন শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তিন দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রণব দেবনাথ বলেন, ‘বর্তমানে প্রায় এক হাজার ডিপ্লোমা এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ার বেকার রয়েছেন। এছাড়া এখনো দশটি পলিটেকনিকে ৪৮টি আসন হিসেব ৪৮০ জন এবং চার বছরে ১৯২০ জন মিলিয়ে মোট প্রায় চার হাজার ছাত্রছাত্রী এ ব্ভিাগে অধ্যয়নরত। প্রতিবছর এ বিভাগ থেকে ছয়শ থেকে সাড়ে ছয়শ ছাত্রছাত্রী পাশ করে বের হচ্ছে। কিন্তু তাদের কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেই। সরকারের পক্ষ থেকেও কোনো ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।’
এসময় সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, ‘২০০৫ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পরিবেশ প্রকৌশলীদের সরকারি বেসরকারি কোথাও কাজের উল্লেখ্যযোগ্য ক্ষেত্র তৈরি হয়নি। এমনকি পলিটেকনিকগুলোতে অবকাঠামোগতভাবে বিভাগটি সবচেয়ে দুর্বল।’
এসময় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম, ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষক রতন চন্দ্র, শিশির আখন্দ প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত তিন দফা দাবি হলো- অবিলম্বে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ (যেখানে সিলেবাস অনুযায়ী যোগ্য), পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে এনভায়রনমেন্টাল ব্ভিাগের শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রতিনিয়তই ওয়াসা, সিটি করপোরেশন, এলজিইডি, পাবলিক হেলথ, গণপূর্ত পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, পরিবেশ অধিদপ্তর আবহাওয়া অধিদপ্তর, কৃষি উন্নয়ন সংস্থাগুলো, সরকারি হাসপাতাল ও শিল্প কারখানা, জলবায়ু পরিবর্তনে গঠিত বিভিন্ন প্রকল্প, খ্যাদ্য দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনাসহ নানান ক্ষেত্রে নিয়োগ হচ্ছে, যেখানে আমাদের বিে বচনা করা যেত।
বাংলামেইল২৪ডটকম