বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥
পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে বেইজিং থেকে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বুধবার সকাল বেইজিংয়ের স্থানীয় সময় সকাল এগারোটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে বেইজিং ছাড়েন তিনি।
এর আগে বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান চীনের উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী লিউ ঝেনমিন।
সফরের শেষ দিন মঙ্গলবার রাতে বেইজিংয়ে প্রেসিডেনশিয়াল হোটেলে বাংলাদেশ দূতাবাসের দেয়া নৈশভোজে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
নৈশভোজে কমিউনিকেশন ইউনিভার্সিটি অফ চায়নার বাংলা বিভাগের শিক্ষর্থীদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর এবারের এই সফরে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দুটি চুক্তি, দুইটি সমঝোতা স্মারক এবং দুটি বিনিময়পত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে।
গত সোমবার দুপুরে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অফ পিপল-এ চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শীর্ষ বৈঠক শেষে বাংলাদেশে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি হয়।
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি
বৈঠকে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি আরেকটি চুক্তি এবং একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এছাড়া আরো দুটি ক্ষেত্রে বিনিময়পত্র সই হয়েছে।
কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎেকেন্দ্র ছাড়া অন্য চুক্তিটি হয়েছে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সহযোগিতা নিয়ে। সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে বাংলাদেশে চীনের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়ে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণে গবেষণা এবং দুর্যোগে উদ্ধার কার্যক্রমের সরঞ্জাম সহযোগিতার বিষয়ে বিনিময়পত্র দুটি সই হয়েছে।
পরে সোমবার রাতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে একটি টানেল নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পৃথক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থার আরো উন্নয়নে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে চীন চট্ট্রগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এই টানেল নির্মাণ করবে।
এছাড়া বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় তৈরী পোষাক শিল্পর একটি পল্লী নির্মাণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের মানোন্নয়নে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান (বিজিএমইএ) ও চীনের ওরিয়ন ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিং কোম্পানির মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।