বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক॥
স্ট্রাসবুর্গের ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত গত বৃহস্পতিবার সেইরকমই রায় দিয়েছে। মোনাকোর প্রিন্স দ্বিতীয় অ্যালবার্টের প্রথম অবৈধ সন্তানের খবর ফাঁস করে সেবার বিপাকে পড়েছিল ফরাসি প্যারিস ম্যাচ পত্রিকা। প্যারিসের অদূরে একটি ফরাসি আদালত ২০০৫ সালের জুন মাসে রায় দেয় যে, প্যারিস ম্যাচে প্রিন্স অ্যালবার্টের অবৈধ সন্তানের খবর ফাঁস হওয়ায় প্রিন্সের প্রাইভেসি অর্থাৎ একান্ততার অধিকার ভঙ্গ করা হয়েছে। কাজেই প্যারিস ম্যাচ পত্রিকার ৫০ হাজার ইউরো জরিমানা হয়, সেই সঙ্গে চার হাজার ইউরো মামলার খরচ দিতে হয়।
সে রায় বেরনোর এক মাস পরেই প্রিন্স অ্যালবার্ট স্বীকার করেন যে, তিনি নিকোল কস্তের পুত্রসন্তানের পিতা। নিকোলের সঙ্গে প্রিন্সের নাকি দেখা হয়েছিল একটি ফ্লাইটে ফরাসি-টোগোলিজ বংশোদ্ভূত নিকোল ছিলেন সেই বিমানের ফ্লাইট অ্যাটেন্ডান্ট। প্যারিস ম্যাচে নিকোলের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয় ২০০৫ সালের মে মাসে। নিকোলের বয়স তখন ৩৩ বছর। নিকোল প্রিন্স অ্যালবার্টের সঙ্গে তাঁর প্রায় এক বছর ব্যাপি সম্পর্কের কথা বর্ণনা করেন, জানান, কিভাবে ১৯৯৭ সালের প্যারিস-নিস রাতের ফ্লাইটে তাঁর প্রিন্স অ্যালবার্টের সঙ্গে দেখা হয়েছিল।
প্যারিস ম্যাচ-এর সেই বিবরণে প্রিন্স অ্যালবার্টের শিশু কোলে নিয়ে একাধিক ছবি ছাপা হয়েছিল। প্রিন্স অ্যালবার্ট ইতিপূর্বেও এক অবৈধ সন্তানের জনক হয়েছিলেন, সে ছিল এক কন্যা ইয়াজমিন গ্রেস গ্রিমাল্ডির জন্ম হয় ১৯৯২ সালে। ফ্রেঞ্চ রিভিয়েরায় ছুটি কাটানোর সময় ইয়াজমিনের হবু মা তামারা রোটোলোর প্রিন্সের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত যোগাযোগ হয়। তামারা নাগরিকত্বে অ্যামেরিকান।
স্ট্রাসবুর্গের ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত এবার রায় দিয়েছে, ফরাসি আদালতের আদত সিদ্ধান্ত প্যারিস ম্যাচ পত্রিকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ভঙ্গ করেছে। স্ট্রাসবুর্গের আদালতের মতে, (অবৈধ) সন্তানের অস্তিত্বের কথা জানার এবং মোনাকোর রাজনীতিতে তার তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করার অধিকার জনতার রয়েছে। আদালত আরো বলেন, নিকোল তাঁর সন্তানের কথা প্রকাশ করে নিজের পুত্রের সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন। প্রিন্স অ্যালবার্ট এখন বিবাহিত ও তাঁর স্ত্রী শার্লিন সন্তানসম্ভবা।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে