বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ বঙ্গোপসাগরে জেলে বহরে হামলা করে মুক্তিপণের দাবিতে শতাধিক জেলেকে অপহরণের খবর পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় সাগরের সুন্দরবন উপকূলের ফেয়ারওয়ে বয়া ও সোনাদিয়া এলাকায় দস্যু জাহাঙ্গীর ও ফরহাদ বাহিনীর সদস্যরা মাছধরা ট্রলারে এ হামলা চালায়। এ সময় দস্যুরা নগদ অর্থ, মাছ, জ্বালানি তেল লুটে নেয় এবং প্রায় শতাধিক জেলেকে অপহরণ করে।
অপহৃত জেলেদের মধ্যে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের মারুফ মিয়ার এফবি মধু মিয়া ট্রলারের মাঝি মো. আনোয়ার হোসেন (৩২), এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মালিক ও মাঝি রোকা মিয়া (৩৮), নলবুনিয়া দ্বীপচরের আবুল হোসেনের এফবি জনি ট্রলারের মাঝি ধলু মোল্লা (৪০), পাথরঘাটার কালিয়ার খাল এলাকার ইসমাইল খানের এফবি এমরান ট্রলারের মাঝি মোজাম্মেল হাওলাদার (২৫) এর নাম জানা গেছে।
অন্যান্য জেলেদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বঙ্গোপসাগর থেকে ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে শরণখোলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন শুক্রবার রাতে বাংলানিউজকে জানান, বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন উপকূলের ফেয়ারওয়ে বয়া মহিপুর ও সোনাদিয়া এলাকায় ইলিশ মাছধরা ট্রলার বহরে বনদস্যু জাহাঙ্গীর ও ফরহাদ বাহিনী হামলা ও লুটপাট চালায়।
এ সময় তারা জেলেদের মারধর করে নগদ টাকা, জাল, মাছ ও জ্বালানি তেল, মোবাইল ফোন লুট করে জন প্রতি ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণের দাবিতে শতাধিক ট্রলারের মাঝিকে তুলে নিয়ে যায়। অপহৃত জেলেদের বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলা, পটুয়াখালীর মহিপুর, বরগুনার পাথরঘাটা, চরদুয়ানী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া এলাকায় বলে জানা যায়।
অপরদিকে বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল মান্নান তাদের এলাকার ১৮ জেলে অপহরণের ঘটনার কথা জেনেছেন বলে দাবি করেন।
তবে এ ব্যাপারে মংলাস্থ কোস্টগার্ড পশ্চিমজোনের জোনাল কমান্ডার কাজী মেহেদী হাসান বাংলানিউজকে জানান, জেলে অপহরণের কোন ঘটনা তাদের জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অপহৃতের ঘটনা সঠিক হলে জেলে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেওি আশ্বাস দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।