স্টাফ রিপোর্টার ॥
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা বড় পুকুরিয়া মামলা সচলের আবেদনের রায়ের দিন পিছিয়ে ১৫ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এদিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক উল হক, জয়নুল আবেদীন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার এহসানুর রহমানসহ অন্যান্যরা। তারা রায় পেছানোর আবেদন জানান।
এর আগে গত ৫ মার্চ দুদকের পক্ষে শুনানি শেষে আদালত এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১০ মার্চ দিন ঠিক করেছিলেন। তবে সেখানে খালেদার পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করেননি। এরপর রোববার খালেদার পক্ষে শুনানির জন্য আবেদন করায় দিন পিছিয়ে ১৫ মার্চ ধার্য করা হয়েছে।
খালেদার বিরুদ্ধে দায়ের করা বড়পুকুরিয়া মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া রুলের নিষ্পত্তি চেয়ে দুদক আবেদন করেছিল। এরপর শুনানি শেষে রায়ের জন্য দিন ঠিক করেছেন আদালত।
১/১১ এর জরুরি অবস্থার সময়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। মামলায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছিল।
এতে চারদলীয় জোট সরকারের স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মরহুম), অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মরহুম), শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী শামসুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।