স্টাফ রিপোর্টার ॥
জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সিনিয়র নেতারা আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসুস্থ থাকায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিনি আজ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সরাসরি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেননি।
শ্রদ্ধা নিবেদনের পর ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলার জন্যই জেল হত্যার মতো জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াবো।
জেল হত্যা দিবস স্মরণে শুক্রবার সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া ও পরে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। ওবায়দুল কাদের জানান, প্রধানমন্ত্রী অসুস্থ।
আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা সাহারা খাতুন, আব্দুর রাজ্জাক, আবদুল মান্নান খান, মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দীপু মনি, আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং হাসান মাহমুদ অন্যান্যের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বনানী জাতীয় তিন নেতার কবরে পুস্পস্তবক অর্পণে নেতৃত্ব দেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আমু বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু করে।
বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর ০৩ নভেম্বর তার ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে কারাগারে হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি কলঙ্কময় একটি দিন। রাষ্ট্রের হেফাজতে কারা অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতা হত্যার দিনটি ‘জেল হত্যা দিবস’হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।