স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর : টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশ এলাকায় আজ সকাল থেকে অবস্থান নিয়েছেন তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের মুসল্লিরা।
দুপুরে দুই গ্রুপের মুসল্লিদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কিছু মুসল্লি আহত হয়েছেন।
ইজতেমা সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সা’দ এই দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন মুসল্লিরা।
জোড় ইজতেমা উপলক্ষে মাওলানা জুবায়ের গ্রুপের মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আগে থেকেই অবস্থান নিয়েছিলেন। শনিবার সকাল থেকে সাদ গ্রুপের অনুসারীরা ইজতেমা ময়দান এলাকায় আসতে শুরু করেন এবং ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন।
এ সময় উভয় পক্ষের মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সাদ গ্রুপের মুসল্লিরা ইজতেমা মাঠের চারপাশ এবং সংলগ্ন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম লেনে অবস্থান নেন। এতে ওই লেনে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন হয়।
এরপর দুপুরে উভয় গ্রুপ মুসল্লিদের মধ্যে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং দুপুরে হামলার ঘটনা ঘটে।
টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন জানান, দুপুরে মুসল্লিদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন মুসল্লি আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের সংখ্যা জানা যায়নি।
এর আগে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের নেতৃত্বের কোন্দলে জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব গত মাসে স্থগিত করা হয়। দেওবন্দপন্থিদের আবেদনে নির্বাচন কমিশন এক আদেশে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের আগে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করে একটি নির্দেশনা জারি করে।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো. মঞ্জুরুল হক জানান, দুপুর ২টা পর্যন্ত টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্যাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ১০৬ জন মুসল্লিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২১ জনকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।