বিনোদন ডেস্ক ॥
জাতীয় নির্বাচনের আর বেশিদিন বাকি নেই। প্রথমত চাই, দেশে একটি সুষ্ঠু ও সংঘাতহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সব দল নির্বাচনে এসেছে, এটাই বড় কথা। বিভিন্ন ধরনের ঐক্য দেখা যাচ্ছে।
সবকিছুই আমার কাছে ইতিবাচক মনে হচ্ছে। সংঘাত এড়িয়ে গেলে নির্বাচন নিয়ে আমরাও গর্ব করতে পারব। দলগুলো এখনও তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেনি। প্রত্যেকটি দলের কাছে চাইব, বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সেটি ঠিক থাকুক।
পাশাপাশি শিক্ষা, সংস্কৃতি এগুলোকে গুরুত্ব দেয়া হোক। কেননা শুধু অর্থনীতি দিয়ে একটি জাতি এগোতে পারবে না। তাকে শিক্ষা এবং সংস্কৃতির ওপরে গুরুত্ব দিতেই হবে।
সেই জায়গাগুলোতে আমি বলব যে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে আগামী নির্বাচিত সরকারকে, আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। আমি সংস্কৃতির লোক বলে বলছি না, আমি মনে করি যে শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নতি ছাড়া কোনো জাতিই বিশ্বে সম্মান পাবে না।
নিজের ইতিহাস, নিজের ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে হলে শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নতি দরকার। আমি আশা করব এ দিকগুলোর দিকে যেন বিশেষ নজর দেয়া হয়। আর নির্বাচনী ইশতেহারে সংস্কৃতি অঙ্গনের কথা আলাদা করে বলা হয় না।
এই জায়গাটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবা উচিত। সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা এখন বুঝতে না পারলেও অচিরেই বোঝা যাবে। সংস্কৃতি অঙ্গন সব সময়ই অবহেলিত থাকে। সংস্কৃতি অঙ্গনের আকার বেড়েছে। প্রচুর সংখ্যক মানুষ কাজের মাধ্যমে এ অঙ্গনে নিয়মিত কাজ করছে। তাদের কর্ম পরিধি এবং কাজের জায়গাটা আরও বিস্তৃত করা দরকার।
এ অঙ্গনের মানুষেরা যেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় আরও এগিয়ে যেতে পারে। এটাই আমার আগামী দিনের নতুন সরকারের কাছে আবেদন। আর আমি চাই সুষ্ঠু একটা নির্বাচন হোক এবং প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হোক।
জনগণও তাদের সুবিবেচনায় ভোট দিক। জাতির জন্য সুন্দর মঙ্গলজনক একটি সরকার গঠিত হোক। এটাই আমার প্রত্যাশা।
তৌকীর আহমেদ, নির্মাতা, অভিনেতা ও নাট্যকার