শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > সারাদেশ > ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে ঘর, জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে ঘুরে হতাশ বৃদ্ধা

ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে ঘর, জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে ঘুরে হতাশ বৃদ্ধা

শেয়ার করুন

গৌতম চন্দ্র বর্মন
জেলা প্রতিনিধি ॥
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের মর্জিনা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধার মাটির ঘর বৃষ্টির পানিতে ভেঙে গেছে। এখনো তিনি অন্যের বাড়ির বারান্দায় রাত্রিযাপন করেন। একটা বিধবা ভাতা কার্ডের জন্য জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও হতাশায় ফিরলেন বৃদ্ধা মর্জিনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নতুন পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত বারেক উদ্দীনের স্ত্রী বৃদ্ধা মর্জিনা
বেগম ১০ বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে তার ঠাঁই হয় একমাত্র সন্তান আলম হোসেনে কাছে। কিন্তু করোনার কারণে কাজ হারিয়ে খাবারের ব্যয় নির্বাহ করাই কঠিন হয়ে পড়েছে আলমের। অন্যদিকে বৃদ্ধা মর্জিনার মাটির ঘরটিও ভেঙে যায়, তাই তিনি অন্যের বাড়ির বারান্দায় রাত্রিযাপন করেন।

মর্জিনা বেগম বলেন ,স্বামীর মৃত্যুর ১০ বছরেও বিধবা ভাতা কিংবা বয়স্ক ভাতার কার্ড। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ওষুধ কেনার টাকাও নাই। মেম্বার, চেয়াম্যানের কাছে গেলে তারা আমাকে আশার বানী শুনিয়ে দেয়। এখন ঘরটি ভেঙ্গে পড়াতে খুব কষ্টে দিনপার করছি।

স্থানীয়রা জানান, বৃদ্ধার স্বামী মারা গেছেন প্রায় অনেক বছর আগে। ৭০ বছর বয়সী অসুস্থ বৃদ্ধাকে সন্তান ও তার স্ত্রী একটু দেখাশোনা করেন। বেশির ভাগ সময়ই খেয়ে না খেয়ে কাটে তার দিন। তারপরেও পেতেন না বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতা। মর্জিনা বেগমের আকুতি জীবনের সায়াহ্নে এ সময়ে একটি ঘর নির্মাণে সহযোগিতায় সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলো এগিয়ে আসবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মহেন বলেন, মহিলাটিকে আমি চিনি ১০ বছর আগে তার স্বামী মারা যায়। এবার বৃষ্টির কারণে তার ঘরটিও ভেঙে যায়। দেখি আগামীতে কার্ড করে দেওয়া যায় কিনা।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান বনি আমিন বলেন, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম খোঁজ নিয়ে দেখব।