শুক্রবার , ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ , ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > লাইফস্টাইল > নিখুঁত প্রেমের ২০টি “বৈজ্ঞানিক” সূত্র!

নিখুঁত প্রেমের ২০টি “বৈজ্ঞানিক” সূত্র!

শেয়ার করুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক ॥ প্রেমের সম্পর্কে সুখ খুঁজতে গিয়ে গলদঘর্ম হয়ে যাই আমরা। কিছুতেই সুখী একটা সম্পর্ক স্থাপন করতে পারেন না অনেকেই। অনেক সময়ে শান্তিপূর্ণ একটা সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে দিনে দিনে বিনা কারণেই। এই সমস্যার সমাধান কোথায়? বিজ্ঞান তো অনেক কিছুরই সমাধান বের করলো, এবার না হয় প্রেমেরও সমাধান দিক! এই চ্যালেঞ্জের জবাব হিসেবে বিজ্ঞানীরা আসলেই হিসেব কষে বের করেছেন একেবারে “নিখুঁত” সুখী এবং সন্তুষ্টি ভরা প্রেমের ২০টি বৈশিষ্ট্য! জানতে চান, সেগুলো কী?

১) টেক্সটিং করবেন নাঃ

যেসব জুটি মোবাইলের টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে প্রেম করে, ঝগড়া করে এবং ঝগড়া মেটায় তাদের সম্পর্ক কখনও সুখী হয় না। মোবাইল ব্যবহার যখন করছেনই, তখন প্রিয়জনকে “কল” করুন, অথবা সব ফেলে দিয়ে তার সাথে সরাসরি দেখা করতে চলে যান।

২) নিঃসন্তানঃ

শুনতে অবাক লাগলেও নিঃসন্তান দম্পতিরা বেশি সুখী হয়। তবে এটা অবশ্যই সারা পৃথিবীর হিসাবে। বাংলাদেশের জন্য এটা প্রযোজ্য না হওয়ারই সম্ভাবনা বেশি।

৩) বিয়ে করলেও যা, না করলেও তাঃ

সুখের পরিমাণ বিবাহিত এবং অবিবাহিত জুটির ক্ষেত্রে একই। বিয়ে করলে সুখ বাড়বে বা কমবে এমন মনে করার কোন কারণ নেই। ভালোবাসা ঠিক থাকলে বিয়ের পরেও থাকবে অটুট।

৪) একটু একটু ঝগড়াঃ

মাঝে মাঝে ঝগড়া করলে সম্পর্ক আসলেই গাঢ় হয় আর প্রেমিক-প্রেমিকার মাঝে বিশ্বাস দৃঢ় হয়।

৫) বড় সন্তানের সাথে ছোট সন্তানঃ

এটা বেশ গভীর গবেষণা করে বের করা হয়েছে। সম্পর্কের একজন যদি পরিবারের বড় সন্তান হয় তবে সে সঙ্গীকে দেখেশুনে রাখতে পারবে আর অপরজন যদি হয় নিজের পরিবারের ছোট সন্তান, তবে সে ওই যতœ উপভোগ করবে।

৬) একঘেয়েমি থাকতে পারবে নাঃ

যে সম্পর্কে একঘেয়েমি বা বিরক্তি এসে যায়, সে সম্পর্ক টিকবে না তা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়।

৭) একসাথে ঘরের কাজ করাঃ

একসাথে ঘরের কাজ করার দায়িত্ব ভাগ করে নিলে তাতে সম্পর্কের বেশ ভালো উন্নতি ঘটতে দেখা গেছে।

৮) সমকামী, অথবা নারীবাদীঃ

সমকামী জুটি সাধারণত সুখী হতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, সাধারণ নারী-পুরুষ জুটির মাঝে যদি পুরুষটি নারীবাদী হয়ে থাকে তাহলেও সেই সম্পর্ক সুখী হয়ে থাকে।

৯) সুন্দরী নারী এবং অসুন্দর পুরুষঃ

ঠিক অসুন্দর না হয়তো কিন্তু নারীর মতো এতটা সুন্দর হতে পারবে না পুরুষটি। একটু কম আকর্ষণীয় পুরুষ এবং বেশ আকর্ষণীয় নারীর মাঝে সম্পর্ক বেশ জমে ওঠে।

১০) অনলাইন গেমিং করেন নাঃ

একটু অদ্ভুত লাগতে পারে শুনতে, কিন্তু বর্তমানে অনেক মানুষই অনলাইনে গেমস খেলতে পছন্দ করেন। এই ধরণের গেমস যারা খেলতে অভ্যস্ত তাদের সাথে সম্পর্ক টেকে না বলে মত দিয়েছে বিজ্ঞান।

১১) একই ধরণের মানুষঃ

আপনার সাথে খুব বেশি পার্থক্য রয়েছে এমন মানুষের সাথে আপনার সম্পর্ক বেশ ঝামেলার হবে।

১২) ফেসবুকে খুব বেশি মিউচুয়াল ফ্রেন্ড থাকা যাবে নাঃ

আপনাদের ফ্রেন্ড সার্কেল যদি আলাদা হয় তবে আপনাদের সম্পর্ক টিকবে বেশিদিন।

১৩) একই রকম খরুচে/কিপটেঃ

একজন বেশ কিপটে, অপরজন অনেক খরচ করতে পছন্দ করেন- এমন সম্পর্ক কখনোই টিকবে না।

১৪) শারীরিক সম্পর্কে সক্রিয়ঃ

এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যেসব জুটি সক্রিয় তারা একত্রে থাকেন বেশিদিন।

১৫) ধীরেসুস্থে অগ্রসর হওয়া সম্পর্কঃ

সম্পর্কের শুরুতেই যদি আপনি সঙ্গীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন, তবে সেই সম্পর্ক টিকবে না সেটা হলফ করে বলা যায়।

১৬) বিশ্রাম নেওয়া জরুরিঃ

যেসব জুটি বা দম্পতি তাদের জীবনযাত্রা এবং কাজকর্মের মাঝে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিয়ে থাকেন তাদের মেজাজ ভালো থাকে এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তারা থাকেন সুখী।

১৭) সুশিক্ষিতঃ

যথেষ্ট পরিমানে পড়াশোনা জানা (কলেজ বা ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করা) জুটি সাধারণত বিচক্ষণ হয় এবং অকারণে তাদের মাঝে সম্পর্কচ্ছেদ হতে দেখা যায় না।

১৮) একে অপরের সাফল্যে আনন্দিতঃ

অনেক সময়ে সঙ্গীর সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে থাকেন অনেকে। এর উল্টোটা যখন ঘটে অর্থাৎ যখন সঙ্গীর সাফল্যে আপনি খুশি হন তখন সেই সম্পর্ক টিকে থাকার সম্ভাবনা বেশি হয়।

১৯) একই ধরণের রসবোধঃ

আপনার বলা জোকস শুনে যদি আপনার সঙ্গীটি না হাসে তবে কি আপনার ভালো লাগবে? অথবা সাধারণ একটা কথাকে তিনি ঠাট্টা মনে করলে তাও আপনার ভালো লাগবে না। এ কারণে দুজনের রসবোধ হওয়া চাই এক ধরণের।

২০) মদ্যপানের মাত্রাঃ

সঙ্গী মদ্যপান করে অথচ আপনি করেন না। অথবা আপনি করেন কিন্তু সে করে না। এমন অবস্থা হলে সম্পর্কে ফাটল ধরতেই পারে।