বাংলাভূমি ডেস্ক ॥
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সংবিধানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সংবিধান অন্যতম ও অনন্য। উত্তরাধিকার কিংবা সমঝোতার সূত্রে নয়, বরং লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ সংবিধান। এ সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে হবে।
মঙ্গলবার ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ পরিচালিত এনডিসি ২০১৯ কোর্স শুরু উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কোর্সটিতে ১৫টি দেশের ২৯ জন বিদেশিসহ ৮৪ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল/যুগ্মসচিব পদমর্যাদার সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। এ সময় ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্সে অংশগ্রহণকারী, ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও স্টাফ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। দীর্ঘ ২৩ বছরের লড়াই সংগ্রামের ফসল এ সংবিধান। অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর জাতিকে তিনি উপহার দিয়েছিলেন এ অনন্য সংবিধান।
তিনি বলেন, সংবিধান হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন, যেখানে মৌলিক নীতিগুলো লিপিবদ্ধ থাকে, যা জনগণের বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখে।
রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ- নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগ। এ তিনটি অঙ্গ সংবিধান অনুযায়ী জনগণের স্বার্থেই কার্যাবলি সম্পাদন করে।
‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ’ উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, জনগণের কল্যাণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের কার্যাবলির মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে জনগণের মৌলিক অধিকারগুলো সংরক্ষণ করে ও নিশ্চয়তা দেয় সংবিধান। বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদ- এ চারটি মূলনীতিকে সমুন্নত রাখা হয়েছে, যার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত সোনার বাংলার ঠিকানায়। বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের বিস্ময়। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব, দক্ষতা আর প্রজ্ঞার ফলে অর্থনৈতিক সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। সরকারের সুষম আর্থ-সামাজিক নীতির ফলে জনগণের মাথাপিছু আয়, জিডিপি এবং রেমিট্যান্স ও রিজার্ভ বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণে।
গত দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দারিদ্র্যের হার ৪০ থেকে ২২ শতাংশে কমিয়ে এনেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।