বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ স্বামী-স্ত্রী কিংবা প্রেমিক-প্রেমিকা, আপনি যে সম্পর্কেই আবদ্ধ হন না কেন, সম্পর্ক একসময় চালিয়ে নেওয়া অসম্ভব বলেও মনে হতে পারে। আর এক্ষেত্রে অপরজনকে জানিয়ে দিতেই হয় যে- আর নয়। কিন্তু এ বিষয়টি ঠিক কীভাবে তাকে জানানো যায়, তা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকে। সম্পর্ক বিচ্ছেদের বিষয়টি স্পর্শকাতর বিধায় এগুতে হয় খুব সাবধানে। সামান্য গড়মিল হলেই আসতে পারে বিপদ। এ লেখায় পাচ্ছেন এ বিষয়ে সাতটি উপায়।
১. আমাকে কল কর!
আপনার সঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদের এটি হতে পারে সবচেয়ে নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য উপায়। মাথা ঠাণ্ডা রেখে সাধারণভাবে কথাগুলো বলে সম্পর্ক বিচ্ছেদই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। এতে কথা বিনিময়ও হয়, যা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় হওয়া উচিত। এছাড়া এতে অপর পক্ষকে যথেষ্ট সম্মানও করা হয়। এভাবে বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে অপর পক্ষ কারণ জানতে চাওয়াটাই স্বাভাবিক। আর এজন্য সংক্ষেপে কারণ জানিয়ে দেওয়াটা ভদ্রতা। তবে এ আলোচনা সংক্ষিপ্ত হওয়াটাই উচিত। আর বিষয়টি সংক্ষিপ্ত রাখার জন্য বেশি কারণের চেয়ে অল্প কারণ ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
২. নিজে দেখা করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিন
সম্পর্ক ভাঙার ক্ষেত্রে নিজে দেখা করে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হতে পারে একটি ভালো সমাধান। সম্পর্ক ভাঙার সময় আপনি নিশ্চয়ই তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ হতে চাইবেন না। এজন্য দেখা করার স্থান হিসেবে ঠিক করতে হবে কোনো জনবহুল নিরাপদ স্থান। সেখানেই পরিষ্কার করে জানিয়ে দিন আপনার সিদ্ধান্তের কথা। তবে সম্পর্ক ভাঙার সময় অবশ্যই তার প্রতি সম্মান বজায় রাখবেন। এ পদ্ধতি অবশ্য অনেকের ক্ষেত্রে ভীতিকর হতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্য কোনো পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।
৩. ইমেইল করুন
আপনার বক্তব্য পরিষ্কারভাবে তুলে ধরার জন্য ইমেইলের তুলনা নেই। আপনার যদি বিচ্ছেদের পটভূমি দীর্ঘ হয় এবং মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বিষয়গুলো বুঝিয়ে বলার মতো মানসিকতা না থাকে, তাহলে ইমেইলের আশ্রয় নিতে পারেন। আপনি কি বলতে চাচ্ছেন তা পরিষ্কার করে ইমেইলে তুলে ধরলেই চলবে। এর জবাবটাও আপনি অপর পক্ষ থেকে ইমেইলেই পেতে পারেন। ফলে আপনার পক্ষে সম্পর্ক ভেঙে ফেলা সহজ হবে এবং সম্পূর্ণ বিষয়টা লিপিবদ্ধ থাকবে।
৪. কখনো দ্বারস্থ হতে পারে এসএমএস-এর
আপনি তার কাছ থেকে আর কোনো ফোন, এসএমএস বা ই-মেইল পেতে চান না; রাখতে চান না সম্পর্ক। বিষয়টি একটি এসএমএস-এর মাধ্যমে পরিষ্কার করে জানিয়ে দিতে পারেন। তার জবাবে সে যদি কোনো এসএমএস করে তাহলে আবার জানিয়ে দিন আপনার সিদ্ধান্তের কথা। তবে আপনি যদি সম্পর্ক ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত ঠিকঠাক নিয়েই থাকেন তাহলে তার পরবর্তী এসএমএসগুলোর জবাব না দেওয়াই ভালো। আপনার স্বল্পসময়ের পরিচিত কাউকে সহজ এসএমএস-এর মাধ্যমে ব্যাপারটা জানিয়ে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে এসএমএস হতে পারে, ‘…., ুড়ঁ’ৎব মৎবধঃ নঁঃ ও ফড়হ’ঃ ভববষ ধ ৎড়সধহঃরপ পড়হহবপঃরড়হ.’
৫. স্থান ত্যাগ করুন
আপনার ও তার বসবাসের শহর বা এলাকা ত্যাগ করুন। সম্পর্কের নানা ক্ষেত্রে যদি জটিলতা তৈরি হয় তাহলে বিষয়টি কাজে লাগতে পারে। অনেক সময় পরিবর্তন প্রয়োজন হয়ে পড়ে। আর এ পরিবর্তন করে তাকে জানিয়ে দিতে পারেন যে, আপনি সত্যিই তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান না।
৬. দুর্বলতা নয়
যখন আপনি তাকে জানিয়ে দেবেন আপনার সিদ্ধান্তের কথা তখন দুর্বলতা কাম্য হতে পারে না। এজন্য সঠিক কারণ উপযুক্ত গুরুত্বের সঙ্গে বুঝিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে দুর্বল যুক্তি দেওয়া উচিত হবে না। অন্যদিকে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, এ কাজ করতে গিয়ে কোনোভাবেই আক্রমণ করা যাবে না। এক্ষেত্রে বাদানুবাদের ফল ক্ষতিকর হতে পারে।
৭. আর কোনো কথা নয়
সম্পর্ক ভাঙার পর তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করার প্রয়োজন নেই। সাবেক সেই সম্পর্কটি আপনি যদি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে তা ভালোভাবেই নিন। সে যদি সংশোধনের বা বদলে যাওয়ার কথা বলে তাহলে এটা বিশ্বাস করার তেমন কোনো কারণ নেই। মানুষের পরিবর্তন খুব কঠিন। যে কারণগুলোতে আপনি তাকে ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সম্পর্ক শুরু করলে সেগুলো আবার ফেরত আসতে পারে।