সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার ॥
গাজীপুর: জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি আখতারউজ্জামান বাহাদুর সাদি ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি গুরুত্বর আহত মোঃ শফিকুল ইসলাম রাসেলকে হাসপাতালে দেখতে যান। এ সময় সাবেক এমপি রাসেলের চিকিৎসার খোজ খবর নেন। গত বৃহস্পতিবার কালিগঞ্জে আওয়ামীলীগ দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্ব আহত রাসেল শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।
আহত রাসেল ও তার আত্মীয় স্বজনরা জানান, কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ফোন করে রাশেলকে জামাল বাজারে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন, সুব্রত পাল, রুবেল, আশিক আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়ে আলাপ আলোচনা করে। সাবেক এমপি আখতারউজ্জামান সমর্থক ছাত্রলীগ নেতা রাসেল বলেন, আমি একা নই আমার সাথে বাহাদুর সাদী ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবদ্দিন আহম্মেদ, জামালপুর ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল আলম, হোসেন আলী মেম্বার, রাকিব হাসান, রাজিব, সজিবসহ ছাত্রলীগ যুবলীগ নেতা কর্মিদের নিয়ে নৌকা মার্কার নির্বাচন করবো। এতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত জাতীয় সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকি এমপির এপিএস মাজেদুল ইসলাম সেলিমের ছোট ভাই কামরুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়। পরক্ষণে প্রতিমন্ত্রী চুমকি’র সমর্থক সুব্রত পাল, সামসুল, পারভেজ, তারেক সরোয়ার, রুবেল, আশিক জামালপুর বাজারে বাশের পাকা খেয়াঘাটে রাসেলের উপর অতর্কিত হামলা করে। তারা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র দিয়ে রাসেলকে হত্যার উদেশ্যে মাথা শরীরে বিভিন্ন স্থানে এলো পাথারী কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে গুরুত্বর আহত রাসেলকে ঐদিন রাতে শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। গাজীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামানের সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ও বাহাদুর সাদি ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিন অহম্দ, সাবেক চেয়ারম্যান খাইরুল আলম, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ম.বজলুর রহমান, কালিগঞ্জ শ্রমিক কলেজের সাবেক ভিপি বেনজির আহমেদ, উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি আফসার হোসেন, যুবলীগ নেতা কাজী সায়েম প্রমুখসহ শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ আলী হায়দার খান, বিএমএ সভাপতি ডাঃ আমির হোসাইন রাহাত, সাধারণ সম্পাদক সুশান্ত কুমার, আবাসিক কর্মকর্তা প্রনয় ভূষন দাস প্রমুখ।