বাংলাভূমি২৪ ডেস্ক ॥ চালকের মস্তিষ্কের তরঙ্গ নজরদারির মাধ্যমে গাড়ি চুরি বন্ধ করা যাবেগাড়ি ছিনতাই বা চুরির ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই এর নিরাপত্তা নিয়ে মালিকদের কেউ কেউ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকেন। গাড়িতে যদি থাকে মূল্যবান সামগ্রী ও অর্থ—দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায়। সেই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির জন্য গবেষকেরা আশার বাণী শুনিয়েছেন। তাঁরা গাড়ির চালকের মস্তিষ্কের তরঙ্গ নজরদারির জন্য একধরনের যন্ত্র তৈরি করেছেন, যা কিনা গাড়ি ছিনতাই বা চুরি ঠেকাতে পারবে।
জাপানের তত্তরি ইউনিভার্সিটির তড়িত প্রকৌশলী ইসাও নাকানিশি ও তাঁর সহকর্মীরা ওই যন্ত্রটি তৈরি করেন। সংশ্লিষ্ট গবেষণার ফল ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব বায়োমেট্রিক্স-এর আগামী সংখ্যায় প্রকাশিত হবে। এ যন্ত্রের একটি অংশ হচ্ছে হেডগিয়ার, যাতে একটি বিশেষ সংবেদি লাগানো থাকে। গাড়ির চালক মাথায় হেডগিয়ার পরলেই তার ইইজি (ইলেকট্রোএনসেফালোগ্রাম) সংকেত বা মস্তিষ্কের তরঙ্গ অব্যাহতভাবে শনাক্ত করতে থাকবে যন্ত্রটি। আর গাড়িটি চালাতে হলে চালককে এই হেডগিয়ার পরতে হবে।
মূল্যবান সামগ্রী বা অর্থ বহনকারী বা সরকারি ট্রান্সপোর্টের গাড়ি ছিনতাই হওয়ার পরও যন্ত্রটি এর চালকের মস্তিষ্কের তরঙ্গ নির্ণয় করবে। এতে যন্ত্রটি বুঝে যাবে গাড়ির নিয়ন্ত্রণে থাকা চালক আসল চালক নন এবং গাড়িটিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে থেমে যাবে।
ওই যন্ত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, স্বাভাবিকভাবে গাড়ি চালনার সময় এটি চালকের মস্তিষ্কের তরঙ্গ রেকর্ড করে রাখে। পরে গাড়ি ছিনতাইয়ের পরও এটি চালকের মস্তিষ্কের তরঙ্গ শনাক্ত করে। তবে যখনই এই তরঙ্গে গড়মিল পরিলক্ষিত হয়, তাৎক্ষণিকভাবে গাড়ি থেমে যায়।
সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা বলছেন, গাড়ির আসল চালকের মস্তিষ্কের তরঙ্গ বিশেষভাবে যন্ত্রে ধারণ করা থাকবে।কাজেই এ ক্ষেত্রে যন্ত্রের সঙ্গে ধোঁকাবাজির সুযোগ থাকবে না। তা ছাড়া এই যন্ত্রের মাধ্যমে মাদক বা অ্যালকোহল পানে মাতাল হওয়া চালককেও শনাক্ত করা যাবে। কারণ মাতাল অবস্থায় মানুষের মস্তিষ্কের তরঙ্গ স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে না। লাইভসায়েন্স।