সোমবার , ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ , ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ , ১৯শে শাওয়াল, ১৪৪৫

হোম > অর্থ-বাণিজ্য > জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা

জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা

শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ টানা চারদিন হরতাল শেষে জমে উঠছে ঈদের কেনাকাটা। রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতান ঘুরে শুক্র ও শনিবার এ চিত্রই দৃশ্যমান হয়েছে। গত ১৫ থেকে ১৮ই জুলাই পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা হরতালের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে নেমে আসে এক ধরনের স্থবিরতা। অবশেষে ছুটির দিনে সে নীরবতা ভেঙে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাঝে ফিরে আসে প্রাণবন্ত পরিবেশ। ঈদের সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে রাজধানীর বিপণিবিতানে বাড়তে থাকে ভিড়। এ সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে কেনাকাটা করাটা হয়ে ওঠে অনেকটা কষ্টসাধ্য ও অসহনীয়। একদিকে ব্যস্ত রাজধানীতে বাড়ে যানজট। সঙ্গে ফুটপাতে হাজারও পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। সঙ্গে আরও আছে আশঙ্কা; ব্যবসায়ীদের কারসাজি ও দাম বাড়ানোর প্রবণতা। এসব ভাবনা থেকে ছুটির দিনগুলোতে কেনাকাটা করতে পছন্দ করে নগরবাসী। সাধ ও সাধ্যের আলোকে কেনাকাটা করতে আগাম ছুটছে তারা। সে জন্য ভিড় বেড়েছে রাজধানীর অভিজাত বিপণিবিতান থেকে সাধারণ মার্কেটে। রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বৃহত্তম ও আন্তর্জাতিক শপিং মল বসুন্ধরা সিটি থেকে নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনী চক, পলওয়েল, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডির বিভিন্ন বিপণী-বিতান, মিরপুর, মৌচাক, মালিবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, ফার্মগেট, আজিজ সুপার মার্কেটসহ অন্যান্য বিপণিবিতানে ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। তবে হঠাৎ করে কেনাকাটার এ ভিড় বাড়াতে মার্কেট ও বিপণিবিতানগুলোর সামনে দেখা দিচ্ছে ভীষণ যানজট। রাস্তার পাশে যত্রযত্র গাড়ি পার্কিং, রিকশা-সিএনজি চালকদের যাত্রী আকর্ষণে যেখানে-সেখানে অপো। সে েেত্র কিছু কিছু মার্কেটে নিজস্ব আনসার সদস্য নিয়োগ থাকলেও হিমশিম খাচ্ছে তারা। বসুন্ধরা সিটিতে কেনাকাটা করতে আসা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত রুহুল আমিন মির জানান, একটু আগে থেকে মার্কেটে এলে দেখে-শুনে বিচার-বিশ্লেষণ করে পছন্দের জিনিস কেনা যায়। সে বিবেচনায় মূলত রমজানের প্রথম দশকে কেনাকাটায় আসা। এছাড়া ব্যবসায়ীরা সময়-সুযোগ, উৎসব ও ভিড়কে কেন্দ্র করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। কারণ ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে ভিড়ও তত বাড়বে। সে কারণে আগেভাগে প্রয়োজনটা সেরে নিলাম। বিপণিবিতানগুলোতে বেশি ভিড় দেখা গেছে ছোটদের পোশাক-আশাক, মেয়েদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে রাখা দোকানে। রাজধানীর পলওয়েল মার্কেটে দুই সন্তান ও সস্ত্রীক কেনাকাটা করতে এসেছেন বেসরকারি কমকর্তা আহসান উল্লাহ। তিনি জানান, ঈদ এলে ছোটদের আগ্রহটা থাকে উৎসবমুখর। আর ওদের চাহিদাও থাকে অনেক রকম। বাবা হিসেবে সাধ্যমতো চেষ্টা করতে হয় দাবি মেটাতে। কি কি কেনাটকাটা করবেন- এমন প্রশ্নে তার স্ত্রী সুমী আক্তার জানান, বাবা-মা ও শ্বশুর-শাশুড়ি এবং বাচ্চাদের জন্য কেনাকাটা করবো। বসুন্ধরা সিটির গুলশান শাড়ি বিক্রেতা ফরিদ উদ্দিন জানান, ছুটির দিনের কথা চিন্তা করে অন্যদিনের তুলনায় আগেই দোকান খোলা হয়েছে। আর দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতারা এসে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। বেচা-বিক্রি কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য কয়েকদিনের তুলনায় বেশ ভাল। আশা করছি আরও বাড়বে। মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, শাড়ি, পাঞ্জাবি, মেয়েদের পোশাক, জুতা-স্যান্ডেল, এক্সেসরিজ ও কসমেটিকস দোকানে ভিড় তুলনামূলক বেশি।